চেনা অথচ নাম না জানা বিভিন্ন ব্যাগের নাম ও অজানা তথ্য

যেসব ব্যাগের ডাবল হ্যান্ডেল থাকে এবং তা কাঁধে বহন করা যায় ঐগুলোকে আমরা ব্যাকপ্যাক নামে চিনি।দুই কাঁধে বহন করায় ব্যাগের ভার পিঠের উপর থাকে, তাই ব্যাগ ক্যারি করতে কষ্ট কম হয়। এখন অনেক সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের ব্যাকপ্যাক পাওয়া যায়। ছোটবেলায় স্কুলে এই ব্যাগ নেয়ার প্রচলন থাকলেও আজকাল অনেকেই  ইউনিভার্সিটি বা অফিসেও এই ব্যাগ ব্যবহার করেন।  এই ব্যাগগুলোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এতে অনেক স্পেস থাকে।  ব্যাকপ্যাকে বইখাতা, ল্যাপটপ, কাপড়চোপড় ইত্যাদি সবই ক্যারি করা যায়। 

হাতে ক্যারি করতে হয় তাই এর নাম ক্লাচ ব্যাগ। ক্লাচ ব্যাগ ছোট কিন্তু লম্বা হয়। দেখতে আয়াতাকার ও হাতলবিহীন।  ক্লাচ ব্যাগ সিম্পল অথবা গর্জিয়াস দুরকমই হয়। তাই বিয়ে বা যেকোনো পার্টিতে শাড়ি, গ্রাউন, চুড়িদার এর  সাথে ক্লাচ ব্যাগ ক্যারি করতে দেখা যায়। এই ব্যাগ সব বিয়ের আসরেই কনের হাতে দেখা যায়। এই ব্যাগে জায়গা খুব কম। তাই একটা ফোন, লিপস্টিক আর টাকা ছাড়া কিছু রাখা যায় না।

ম্যাসেঞ্জার ব্যাগে লম্বা স্ট্র্যাপ থাকে যার সাহায্যে এটা কাঁধে ঝুলিয়ে নেয়া যায়। অনেকেই এই ব্যাগ বুকের ওপর দিয়ে আড়াআড়ি ভাবে এক পাশে ঝুলিয়ে ক্যারি করেন।  ছোট থেকে মাঝারি সাইজ পর্যন্ত হয়ে থাকে এগুলো। অল্প কিছু জিনিস যেমন ২/৩ টি বই-খাতা, ছাতা, পানির বোতল ইত্যাদি ক্যারি করা যায় এগুলোতে। সাধারণত চুড়িদার ও ওয়েস্টার্ন ড্রেসের সাথে এই ব্যাগ বেশ মানায়।এই ব্যাগ ছাত্রছাত্রীদের মাঝে অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে থাকে।

স্যাচেল ব্যাগ হল সবেচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হ্যান্ডব্যাগ। এই ব্যাগ গুলোর বিভিন্ন রকম সাইজ হয়, তাই অনেকেই কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিসে ব্যবহার করে থাকে। আমরা সচরাচর মিডিয়াম থেকে বড় সাইজের উপরে হাতলওয়ালা যেসব ব্যাগ ব্যবহার করি যাতে নিত্য প্রয়োজনীয় সবকিছু ধরে, সেগুলোই স্যাচেল ব্যাগ। এসব ব্যাগ কেনার সময় কালো অথবা ডিপ ব্রাউন কালার চুজ করা উচিত। কারণ সাদা  জাতীয় হালকা কালার খুব তাড়াতাড়ি ময়লা হয়ে যায়। খুব বেশি লোগো বা মেটালওয়ালা ডিজাইনের ব্যাগ এড়িয়ে  যাওয়াই  ভালো।

ডাফেল ব্যাগ সাইজে বেশ বড় হয়। এগুলো সাধারণত ট্র্যাভেল বা স্পোর্টসের কাজে ব্যবহৃত হয়। এই ব্যাগে অনেক জায়গা থাকে। প্রায় অনেক কাপড়চোপড়, জুতো ও ভ্রমণের অন্যান্য জিনিসপত্র নেওয়া যায়। এছাড়াও যারা রেগুলার জিমে গিয়ে এক্সাসাইজ করে তারা এই ব্যাগে এক্সট্রা কাপড় নিয়ে যায়। যারা স্পোর্টস করেন, তারা জার্সি ও খেলার সামগ্রী ক্যারি করে। 

বাকেটের মত দেখতে হয় বলে  এই ব্যাগগুলোর নাম বাকেট ব্যাগ। এগুলো সাধারনত  খোলা মুখের ও চ্যাপ্টা তলের  বড় বেল্ট ওয়ালা ব্যাগ। এই ব্যাগ সাধারনত মিডিয়াম সাইজের হয়ে থাকে। কামিজের সাথে এই ব্যাগ ক্যারি করা  অনেকটাই মানানসই।  এর মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সহজেই ক্যারি করা যায়।

এই ব্যাগগুলো চওড়ায় একটু বেশি কিন্তু লম্বায় ছোট হয়। ক্যাজুয়াল প্রতিদিনের  ব্যবহারের জন্য এই ব্যাগ পারফেক্ট।  এগুলো সাইজে বেশি বড় হয় না তাই শুধু একদম প্রয়োজনীয় টুকিটাকি জিনিস যেমন ফোন, লিপস্টিক, টাকা, একটা মিরর আর চিরুনি নেয়া যাবে। যেকোনো পার্টি, ওয়েডিং বা ফাংশনে শাড়ি,চুড়িদার, ওয়েস্টার্ন সব ধরনের ড্রেসের সাথেই এই ব্যাগ নেয়া যায়।

টোট ব্যাগ সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত ও কমন ব্যাগ। মিডিয়াম থেকে বড় সাইজের এই ব্যাগগুলোয় দুইটি ছোট স্ট্র্যাপ বা হাতল থাকে। সব মেয়েদের কাছেই টোট ব্যাগ থাকে। চাকরিজীবী নারীদের কাছে এই ব্যাগ খুবই জনপ্রিয়। কারণ এতে অনেক স্পেস থাকে এবং একসাথে অনেক কিছু ক্যারি করা যায়। শাড়ি, চুড়িদার, ওয়েস্টার্ন সব ধরনের ড্রেসের সাথে এই ব্যাগ ক্যারি করা যায়। ফ্যাশনেবল ডিজাইনের টোট ব্যাগ যেকোনো প্রোগ্রামেও ব্যবহার করা যায়।

যেসব ব্যাগ এর ওপরের পাশ এবং ২ সাইড মেটাল ফ্রেম দিয়ে আটকানো থাকে ঐগুলোকেই ফ্রেমড ব্যাগ বলে। মেটাল ফ্রেমের কারণে ফ্রেমড ব্যাগ খালি অবস্থায়ও বেশ ভারি হয় । তাই রেগুলার ব্যাবহারের  জন্য এটা কমফরটেবল না। ফ্রেমড পার্স ও বেশ জনপ্রিয় বিশেষ করে ব্রাইডাল ও পার্টি লুকের  সাথে। ফ্রেমড ব্যাগ মাঝারি সাইজের হয় এবং একসাথে অনেক কিছু ক্যারি করা যায়। আবার এটা হার্ড ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি বলে এটাকে ফ্ল্যাট করে শুইয়ে  ক্যারি করা যায় না।