আজ কন্যাশ্রী দিবস। ২০১৩ সালের ১৪ আগষ্ট উদ্বোধন হয়েছিল এই প্রকল্পের। আজ ১২ বছর পূর্তিতে ধনধান্য স্টেডিয়ামে বিশেষ অনুষ্ঠানে শামিল হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শশী পাঁজা-সহ অন্যান্যরা। সেখানে উপস্থিত ছিল বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা।
এদিনের অনুষ্ঠান থেকে মমতা বলেন, "মেয়েরা আমাদের গর্ব। ১২ বছর পার করলাম, অনেক কিছু শিখলাম, জানলাম। সব জেলার মেয়েরা পড়াশোনাতেও ভাল করছেন। আমি সব সময় দেখি নতুনত্ব কী হয়েছে। ক্লাস ৯ এ উঠেছে এমন ১২ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীকে সাইকেল দেব এই মাসের শেষ দিকে।" ‘বন্ধু’ ট্রাম্পের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বরফ গলবে কি?
এদিন মঞ্চ থেকে কন্যাশ্রী, সবুজসাথীর মতো প্রকল্পগুলোর সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন। জানান, বিশ্বের ৫৫২ প্রকল্পের মধ্যে শীর্ষে কন্যাশ্রী প্রকল্প। এই প্রকল্পের জেরেই স্কুলছুট কমেছে বলে এদিন জানালেন তিনি। সবুজসাথী প্রকল্পে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ সাইকেল দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। চলতি মাসে ফের সাইকেল দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন। এরপরই অভিভাবকদের কাছে তিনি আর্জি জানান, যেন মেয়েদের ছোটবেলায় বিয়ে না দেওয়া হয়। পরিবর্তে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। এদিন মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী আবারও ফিরে যান নিজের ছেলেবেলায়। কলেজে ভর্তি হতে গলার হার বিক্রি করতে হয়েছিল বলে জানান তিনি। বলেন, “আমি যে কষ্ট পেয়েছি, ছোটরা যেন তা না পায়।”
মমতা আরও জানান, "আমাদের ৯৩ লক্ষের বেশি কন্যাশ্রী রয়েছে বাংলায়। আমি পরের বছর চাই ১ কোটি হোক। পরের বছর স্পেশাল সেলেব্রেশন।"
এদিন এক্স হ্যান্ডেলেও কন্যাশ্রীর সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লেখেন, “আজ কন্যাশ্রী দিবস। আমাদের সকলের গর্বের কন্যাশ্রী প্রকল্প আজ ১২ বছরে পা দিল। সারা বিশ্ব জুড়ে, সারা দেশ জুড়ে, সারা বাংলা জুড়ে সকল কন্যাশ্রীদের জানাই অনেক অনেক অভিনন্দন। সমাজে মেয়েদের ক্ষমতায়ণের ক্ষেত্রে এতো অল্প সময়ে এতো বড় প্রভাব অন্য কোন সরকারি প্রকল্পের আছে বলে আমার অন্তত জানা নেই! তাইতো বিশ্বের দরবারেও এটা এতো আদৃত – ৬২টি দেশের ৫৫২টি প্রকল্পের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে United Nations Public Service Award বিজয়ী। আমি সবসময় মনে করি, যে সমাজে মেয়েরা ভালো থাকে না, সেই সমাজ কখনো ভালো থাকতে পারে না। সমাজের উন্নয়নের জন্য দরকার মেয়েদের ক্ষমতায়ন।” যুদ্ধ অবসানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বৈঠক
"আমার গর্ব হচ্ছিল সেদিন ইউনাইটেড নেশন ফোরামের স্টেজে দাঁড়িয়েছিলাম। সেদিন গর্বে আমার বুকটা ভরে গিয়েছিল। মেয়েরা কী না করতে পারে, শুধু পড়াশোনা নয়, তাঁরা নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে বড় হয়েছে। ২০১১ সালের পর এই প্রোগ্রামটা করার পরে আজ মেয়েদের ড্রপ out হয়েছে শূন্য, শূন্য। আজ গর্ব করার নেই মেয়েরা দেখিয়ে দিয়েছে। প্রাইমারি স্কুলে ড্রপ আউট শূন্য শূন্য।