ওডিশার কেওনঝড় জেলায় টানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে রেললাইন। তারই প্রভাবে শনিবার সন্ধ্যায় প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে আটকে থাকে টাটানগর-বেরহামপুর বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ঘটনাস্থল গুহালডিহি স্টেশনের কাছে ট্রেন থেমে যায়, যেখানে লাইনের উপর প্রায় ৩ ফুট জল জমে গিয়েছিল। নিরাপত্তার খাতিরে ট্রেনচালক আর সামনে এগোননি। ফলে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ ট্রেনেই অবস্থান করতে হয়। টানা বৃষ্টির কারণে একদিকে রেললাইন পানির নিচে তলিয়ে যায়, অন্যদিকে স্থবির হয়ে পড়ে ট্রেন চলাচল। যাত্রীদের অভিযোগ, প্রথম দিকে সঠিক কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। ট্রেনের মধ্যে আটকে থাকা যাত্রীদের খাবার ও পানীয় জল নিয়েও সমস্যা দেখা দেয়। যদিও রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি কঠিন হলেও কোনও যাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েননি এবং তৎক্ষণাৎ কোনও চিকিৎসা সহায়তা লাগেনি।
বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড: বন্ধ চারধাম যাত্রা, ধসের জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু গ্রাম
রাতের
দিকে যখন দেখা যায়
পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না, তখন রেল
কর্তৃপক্ষ রেসকিউ ইঞ্জিন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ওই ইঞ্জিন
এসে ট্রেনটিকে টেনে নিয়ে যায়
কাছাকাছি কেন্দুজহরগড় স্টেশনে। অবশেষে গভীর রাতে ফের
গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে বন্দে
ভারত এক্সপ্রেস। গত কয়েকদিন ধরে
ওডিশার কেওনঝড়ে টানা ভারী বৃষ্টি
চলছে। নদী-নালা উপচে
পড়েছে, ডুবে গেছে রাস্তা
ও রেলপথ। ফলে জনজীবন কার্যত
অচল হয়ে পড়েছে। রেললাইন
জলের তলায় চলে যাওয়ায় একাধিক
ট্রেনের সময়সূচি বিঘ্নিত হয়েছে। শুধু ওডিশা নয়,
উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি এলাকাও
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে। অসমের ডিমা হাসাও জেলার
লুমডিং-বদরপুর পাহাড়ি রেলপথে ধসের কারণে ট্রেন
চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
দিহাখো ও মুপা স্টেশনের
মাঝে এই ধস নামে,
যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
হয় রেল পরিকাঠামোয়। টানা
রাতভর পরিশ্রম করে উত্তরপূর্ব সীমান্ত
রেলওয়ের কর্মীরা রেললাইন পরিষ্কার করে এবং ৪
জুলাই থেকে ফের সেখানে
পরিষেবা চালু করা সম্ভব
হয়েছে। রেল মন্ত্রক জানিয়েছে,
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় যাত্রী নিরাপত্তাকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি রুটে নজরদারি বাড়ানো
হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় হলে
বিকল্প ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে। আবহাওয়ার
উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত
যাত্রীদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানানো
হয়েছে।