পহেলগাঁও হামলার দু’মাস পর গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ঘটাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। ওই হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকার অভিযোগে লস্কর-ই-তৈবার দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। সংস্থার দাবি, এই দুই সন্ত্রাসবাদী মূল হামলাকারীদের কাশ্মীরে আশ্রয় দেওয়া ও তাদের নানানভাবে সহায়তা করেছিল।
তদন্ত সংস্থার বিবৃতি অনুযায়ী, গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের মধ্যে একজনের নাম পারভেজ আহমেদ জোঠার, যিনি কাশ্মীরের বাতকোট এলাকার বাসিন্দা। অপরজন বসির আহমেদ জোঠার, যিনি হিলপার্ক এলাকার বাসিন্দা। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই ব্যক্তি হিলপার্ক এলাকায় একটি কুঁড়ে ঘর নির্মাণ করে তিনজন সশস্ত্র জঙ্গিকে সেখানে গোপনে আশ্রয় দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, তারা ওই জঙ্গিদের খাবার, আশ্রয় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামেরও ব্যবস্থা করেছিল। তদন্তকারীরা আরও জানান, যদিও দুই জঙ্গি কাশ্মীরের বাসিন্দা হিসাবে পরিচিত, তবে তাদের প্রকৃত নাগরিকত্ব পাকিস্তানের। উভয়েই দীর্ঘদিন আগে ভারতে অনুপ্রবেশ করে লস্কর-ই-তৈবার হয়ে কাশ্মীরে স্থায়ীভাবে অবস্থান নেয়। এনআইএর তদন্তে উঠে এসেছে, এরা শুধু আশ্রয়দাতা নয়, বরং পহেলগাঁও হামলার পরিকল্পনা প্রক্রিয়াতেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল। এই তথ্য সামনে আসায় গোটা হামলার তদন্তে নতুন দিশা মিলেছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
ভাত-রুটির সঙ্গে লেবু-শসা-পেঁয়াজ খেলে কি সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে?
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলায় নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন নিরীহ মানুষ। হামলার পর কেটে গিয়েছে প্রায় দু’মাস, কিন্তু মূল হামলাকারীরা এখনও অধরা। কাশ্মীর উপত্যকায় একাধিক অভিযান ও ধরপাকড় চালানো হলেও এখনও পর্যন্ত মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। এনআইএর ধারণা, গ্রেপ্তার হওয়া দুই জঙ্গিকে জেরা করে মূল হামলাকারীদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এরইমধ্যে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মতো কিছু সামরিক অভিযানে পাকিস্তানি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু মূল অপরাধীরা এখনও গা ঢাকা দিয়ে আছে। তবে এনআইএর সাম্প্রতিক সাফল্যে আশা দেখা দিয়েছে যে, তদন্তে শীঘ্রই আরও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে এবং মূল অপরাধীদেরও বিচারের মুখোমুখি আনা সম্ভব হবে।