#Pravati Sangbad Digital Desk:
ক্রমশ করোনা-গ্রাফ নিম্নমুখী হচ্ছে, কমছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। করোনার চলতি এই তৃতীয় ঢেউ শিখর পেরিয়ে এসেছে। এই অবস্থায় ফের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার ছাড়পত্র দিল ব্রিটেন সরকার। আগামী বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি থেকে আর জনসমক্ষে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়, জানালো ব্রিটেন। এবার আর ওয়ার্ক ফ্রম হোম নয়, অফিস-কাছারিতে বসেই কাজ করতে পারবেন কর্মীরা।
গত বুধবার এরকমই সরকারি নির্দেশনা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি জানিয়েছেন, করোনা ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৬ জানুয়ারি। দেশে সংক্রমণ গ্রাফ নিম্নমুখী। তাই সামনের সপ্তাহ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ২৭ জানুয়ারি থেকে প্ল্যান-এ তে ফিরবে ব্রিটেন।
আগে বড় জমায়েত, অনুষ্ঠানে অংশ নিতে টিকার জোড়া ডোজের শংসাপত্র দেখাতে হত। ২৭ জানুয়ারি থেকে তারও দরকার পড়বে না, বলেও জানা গিয়েছে।
কিন্তু কোভিড পজিটিভদের জন্য বিধিনিষেধ একই থাকছে। করোনা হলে নিভৃতবাসে থাকার যে গাইডলাইন তার মেয়াদ ২৪ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ফলে সেই মেয়াদ কমতে পারে। ব্রিটেনে কোভিড পজিটিভদের পাঁচ দিন নিভৃতবাসে থাকতে হয়। বাধ্যতামূলক এই নিয়ম মানার পর ষষ্ঠ দিন আরটি-পিসিআর টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ হলে নিভৃতবাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেই নিয়মেও বদল আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন বরিস জনসন।
এইদিকে আমেরিকার পরিস্থিতি এখনো স্থিতিশীল নয় বলেই চলে। কড়া বিধিনিষেধ মধ্যেই কাটছে দিন। এরকমই সময় ঘটলো এক অবাক করা কান্ড। আমেরিকার মায়ামি থেকে লন্ডনের পথে যাচ্ছিল একটি উড়ান বিমান। সেই বিমানেরই একজন মহিলা যাত্রীকে বার বার বলা সত্ত্বেও তিনি কিছুতেই মাস্ক পড়তে রাজি হন নি। তাই ফের একপ্রকার বাধ্য হয়েই সেই বিমানটিকে ফের মায়ামিতে ফিরিয়ে আনা হয়। এরকম ঘটনার জেরে বেশ সমস্যার মুখে পড়তে হয় ওই বিমানে থাকা বাকি যাত্রীদেরও।
জানা গেছে যে , বছর ৪০ য়ের ওই মহিলা বিনা মাস্কেই ওই লন্ডনগামী বিমানে ওঠেন। পরে বিমান কর্মীরা যখন তাকে বিনা মাস্কে দেখেন তখন তারা বার বার ওই মহিলাকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তাদের কারুরই কোনো কথাতেই ওই মহিলা কর্ণপাত করেন না। শেষে একপ্রকার বাধ্য হয়েই সেই উড়ন্ত বিমান মাঝ আকাশ থেকেই ফের মায়ামিতে ফিরিয়ে আনা হয়। এবং সাথে সাথেই মায়ামি পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে তারা আসার পর মহিলাটিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা যায়। ওই মহিলা আমেরিকান না ব্রিটিশ এ ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। তবে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়নি।
আর ঘটনায় ওই বিমানে থাকা বাকি যাত্রীদের বেশ সমস্যার মুখে পড়তে হয়। বৃহস্পতিবার তাঁদের ফের লন্ডন উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই বিমানে মোট ১২৭ জন যাত্রী ছিলেন।একজন যাত্রী দাবি বলেন, "দিন দিন সংক্রমণ চূড়ান্ত আকার নিচ্ছে। সরকার থেকে বিধিনিষেধ জারি করা হলেও কিছু কিছু মানুষের মধ্যে সেই বিধিনিষেধের বিন্দুমাত্র চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না।"
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Sayantika Biswas