#Pravati Sangbad Digital Desk:
কিছুদিন আগেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “ এই করোনা পরিস্থিতিতে আগামী ২ মাস সমস্ত ধরণের রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সমাবেশ বন্ধ রাখা উচিত”, তার এই মন্তব্যে মিলেছিল চিকিৎসকদের গ্রহণ যোগ্যতা, তৃণমূলের অন্দরেও মিলেছিল সমর্থন, সেই সাথে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছিলো উল্টো সুর। তার কথাই, “ অভিষেক সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, সুতরাং তার নিজের ব্যাক্তিগত বক্তব্য বলে কিছু থাকতে পারে না”। এই ঘটনার পরপরই ডাইমন্ডহারবার মুলত রাজ্যের কাছে রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেড়েছে টেস্টের সংখ্যা, মানুষজন আগের থেকে অনেক সচেতন হয়েছে, কমেছে সংক্রমণের সংখ্যাও। আর এবার নজির গড়ল দক্ষিণ দমদম পৌরসভা। গোটা পরিবারের সকলের করোনা টীকার দুটি ডোজ নিলেই মিলবে বাড়ির বকেয়া করে ২৫ শতাংশ ছাড়। এ যেন এক অভিনব উদ্যোগ।
দক্ষিণ দমদম পৌরসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসকেরাও। দক্ষিণ দমদম পৌরসভা থেকে জানানো হয়েছে, “ এলাকার মানুষ যদি করোনা টীকার দুটি ডোজ নিয়ে সার্টিফিকেট দেখান তাহলেই বাড়ির বয়েকা কর ২৫ শতাংশ মুকুব”। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে টীকার প্রথম ডোজ নিলেও দ্বিতীয় ডোজ নেননি অনেকে, অনেকে এবার এখনও প্রথম ডোজই নেননি। পৌরসভার এই উদ্যোগের ফলে সাধারণ মানুষ ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহি হবেন বলে বিশিষ্ট মহলের মত। কর ছাড়ের কথা শোনা মাত্রই মানুষ জন ভিড় করছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যা দেখে খুশি পৌরসভার শাসকমণ্ডলী। এবার ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টীকাকরণের নিরিখে পেছনের সারিতে বাংলা, কারণ অনেক অভিভাবকই তাদের সন্তানদের টীকা দিতে ভয় পাচ্ছেন। রাজ্যে করোনার জেরে ফের তালা ঝুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে।
ভ্যাকসিন যত তাড়াতাড়ি ১৮ অনূর্ধ্ব শিশুদের সিংহভাগ সম্পন্ন হবে ততই স্কুল খোলার দিন এগিয়ে আসবে বলে মত অনেকেরই। তবে শুধু মাত্র বড়দের জন্যই নয় ১৫ থেকে ১৮ বছরের পড়ুয়ারা যদি ভ্যাকসিন নেয় তাহলে পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে খেলার সামগ্রী। দক্ষিণ দমদম পৌরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “ পৌরসভার ঘোষণার পরেই মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার চাহিদা বেড়েছে, অন্যান্য দিনের তুলনাই অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ ভ্যাকসিন নিতে লাইন দিয়েছেন। আমারা আশাবাদী দ্রুত সকলকে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দিতে পারবো”।