রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা চারটি মামলায় রাজ্য সরকার এবং সিবিআইকে যৌথ ভাবে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত শুরু করতে বলা হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন।
শুভেন্দু অধিকারীকে ২০২২ সালে ডিসেম্বর মাসে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর নির্দেশ ছিল, হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও এফআইআর দায়ের করা যাবে না। ফলে বিভিন্ন অভিযোগ উঠলেও ওই নির্দেশের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে এফআইআর দায়ের করতে পারেনি। সেই সময়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের দায়ের করা ২৬টি এফআইআর-এ স্থগিতাদেশও দিয়েছিল আদালত।
এ দিন এই সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী নির্দেশ দীর্ঘদিন চলতে পারে না। এই রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত। তবে, এ দিন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৫টি মামলা খারিজ করেছে হাইকোর্ট। ভোটে জিতলে পরিবার পিছু সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি
আইনজীবীদের একাংশের ব্যাখ্যা, আদালতের এই নির্দেশের ফলে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করার ক্ষেত্রে আর আদালতের অনুমতি নিতে প্রয়োজন হবে না পুলিশের। এ দিন আদালত জানিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীদের কোনও বক্তব্য থাকলে সোমবারের মধ্যে তা লিখিত আকারে জমা দিতে হবে।
শুভেন্দুর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘বিচারপতি সেনগুপ্ত অধিকাংশ এফআইআর বাতিল করে দিয়েছেন। চার-পাঁচটি এফআইআর শুধু বাতিল করা হয়নি। আদালত জানিয়েছে, সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের সিনিয়র অফিসারদের নিয়ে সিট গঠন করতে হবে। তাঁরা ওই মামলাগুলির তদন্ত করবেন। আগের মামলাগুলির নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়েছে। তাই একে ঠিক রক্ষাকবচ প্রত্যাহার বলা চলে না।’’ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। তার আগে রাজ্য সরকার নানা ভাবে বিরোধী দলনেতার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবে বলে আশঙ্কা শুভেন্দুর আইনজীবীর। রাজ্য পুলিশের কাজে আস্থা নেই বলেই সিবিআইকে সিটে শামিল করা হয়েছে, তাঁর দাবি ।