‘‘নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বগ্রহণের জন্য মাননীয়া সুশীলা কার্কীকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। নেপালের মানুষের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতির জন্য ভারত দৃঢ় ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ শুভেচ্ছা জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এর আগে শুক্রবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও বার্তা দেওয়া হয়েছিল। শপথের পরে কার্কীকে স্বাগত জানিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী, গণতন্ত্রের সহযোগী এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের অংশীদার হিসাবে দুই দেশের জনগণের কল্যাণ ও সমৃদ্ধির স্বার্থে ভারত নেপালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত থাকবে।’’ বিমানের চাকা খুলে পড়ল এভাবেই উড়ে গেল মুম্বই
কার্কী ছিলেন নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি। প্রবল গণবিক্ষোভের মুখে গত মঙ্গলবার নেপালে সরকার পড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন কেপি ওলি। সাময়িক ভাবে তার পর নেপালের ক্ষমতা গিয়েছিল সেনার হাতে। দেশের বিক্ষোভরত তরুণ প্রজন্ম প্রাথমিক ভাবে কার্কীকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিয়েছিল। তরুণদের বিক্ষোভের মুখে গত মঙ্গলবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি পদত্যাগ করার পর দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট চলছিল। সংকট সমাধানে বিক্ষোভকারী তরুণদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেল ও সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল। গতকাল আলোচনায় মতৈক্য হওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুশীলা কারকির নাম ঘোষণা করে প্রেসিডেন্টের দপ্তর। তবে আন্দোলনকারী ছাত্র-যুবদের একাংশের তরফে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তোলা হচ্ছিল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কুল মান ঘিসিঙের নামও। কেউ কেউ আবার কাঠমান্ডুর মেয়র তথা র্যাপার বলেন্দ্র শাহের কথা বলছিলেন। ফলে কার্কীর শপথগ্রহণে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। পরে অবশ্য সে সব জটিলতা কেটে গিয়েছে। শুক্রবার নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল ৭২ বছরের কার্কীকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন। পালিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ ৭ মন্ত্রী
সুশীলা ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। নেপালে ২০২৬ সালের ৫ মার্চ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।