রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন পেলেও জেলমুক্তি হচ্ছে না বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের। গত ৩০ এপ্রিল হাই কোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিল। তবে, এর মধ্যেই নতুন করে গ্রেফতারের নির্দেশ দিল চট্টগ্রামের একটি আদালত। এবার তাঁকে জড়ানো হয়েছে একটি আলোচিত আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের মামলায়।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রাম আদালতচত্বরে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন সংক্রান্ত শুনানিকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ওই সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে প্রকাশ্যেই কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার জেরে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় দায়ের হয় একাধিক মামলা। সেই হত্যা মামলায় এবার চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করতে ‘শোন অ্যারেস্ট’ (Show Arrest) আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের বিচারক এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ। সোমবার ভার্চুয়াল শুনানিতে এই নির্দেশ দেন তিনি। উল্লেখযোগ্যভাবে, শুনানির সময় চিন্ময়কৃষ্ণের পক্ষে কোনও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো। ঘটনার পর পুলিশ মোট ছয়টি মামলায় ৫১ জনকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস এবং রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে ২১ জন অভিযুক্ত জেল হেফাজতে রয়েছেন।
ইংল্যান্ড সফরের আগে বড় সিদ্ধান্ত: সহ-অধিনায়কত্ব হারাতে পারেন জসপ্রীত বুমরাহ!
উলেখ্য, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের প্রথম গ্রেফতারি হয়েছিল ২০২৪ সালের শেষ দিকে, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে। তাঁর গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লা অঞ্চলে। হাই কোর্ট সম্প্রতি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন মঞ্জুর করলেও, রাষ্ট্রপক্ষ সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর আদালতে জামিন স্থগিতের আবেদন জানিয়েছে। এরই মাঝে নতুন গ্রেফতারি আদেশ চিন্ময়কৃষ্ণ ও তাঁর অনুসারীদের জন্য আরও এক দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে পুরো বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাঁরা অভিযোগ করছেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি বিচার প্রক্রিয়ায় পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে এবং নিরপেক্ষ তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে।