বৈশাখের প্রচণ্ড দাবদাহের মাঝে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে মৌসুমী কালবৈশাখী। শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দমকা হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টিপাত পরিস্থিতিকে অনেকটাই শান্ত করেছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উলেখ্য, আবহাওয়া দফতর আগেই সতর্ক করেছিল, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কালবৈশাখী দেখা যেতে পারে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় তুমুল ঝড় ও বৃষ্টির অভিজ্ঞতা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যার পর দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যার সঙ্গে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। সোমবারেও বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায়। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গেরও বেশ কয়েকটি জেলায় আগামী কয়েকদিন ধরে সক্রিয় থাকবে বৃষ্টির প্রবণতা। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রয়াত দেশের প্রবীণতম যোগী স্বামী শিবানন্দ, বয়স হয়েছিল ১২৯ বছর
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব রাজস্থানের কাছে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে, যা উত্তর ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত। এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় এবং বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী, কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যবাসীকে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস। বিশেষ করে খোলা আকাশের নিচে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের, কারণ বজ্রপাত এবং ঝোড়ো হাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।