সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জেলায় ওয়াকফ আইন ঘিরে তৈরি হওয়া অশান্তির প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশেষে মুর্শিদাবাদ সফরে যাচ্ছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী ৫ মে (সোমবার) মুখ্যমন্ত্রী জেলার সামশেরগঞ্জে একটি সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। যদিও সরকারি স্তরে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি, তবুও প্রশাসনিক মহলে তৎপরতা শুরু হয়েছে।
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে মমতার সাথে সাক্ষাৎ দিলিপ ঘোষের
উলেখ্য, সংশোধিত ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে চলতি এপ্রিল মাসের শুরুতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মুর্শিদাবাদে এই উত্তেজনা বিশেষভাবে তীব্র ছিল। বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটে। বহু পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী কেন ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন না, তা নিয়ে বিরোধীরা একাধিকবার সরব হন। এরই জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন, ‘ঠিক সময় হলে আমি যাব’, এবং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “সব ফাঁস করব।”জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী সামশেরগঞ্জের সভামঞ্চ থেকেই অশান্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে সরাসরি সাহায্য তুলে দেবেন। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এর আগেই ওইসব পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এবার রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান নিজে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চলেছেন।
এছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচিতে ধূলিয়ানেও একটি কর্মসূচি থাকতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করার বিষয়টি এই সফরের মূল লক্ষ্য হতে পারে।মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে রাজনৈতিক মহল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে। একদিকে যেমন রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা রক্ষার বার্তা দেওয়া হবে, অন্যদিকে ওয়াকফ ইস্যুতে যারা ‘চক্রান্ত করছে’ বলে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি বার্তা দেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।