মে মাসের শুরুতেই অশান্তিপূর্ণ মুর্শিদাবাদ সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মেদিনীপুরে একটি প্রশাসনিক সভা থেকে একথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। তিনি জানান, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পরই তিনি রওনা দেবেন মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে।
সম্প্রতি নতুন ওয়াকফ আইন ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকায়। ধর্মীয় সংবেদনশীলতা এবং জমি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধুলিয়ান সহ আশপাশের অঞ্চল। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা কেউ দাঙ্গা চাই না। ধুলিয়ানে দুটি ওয়ার্ডে অশান্তি হয়েছে। কীভাবে এই চক্রান্ত হয়েছে, তা আমরা খতিয়ে দেখব এবং সেই ষড়যন্ত্র রুখে দেব।” তিনি আরও জানান, অশান্তির ফলে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের রাজ্য সরকারের ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, প্রশাসনের তরফ থেকে সমস্তরকম সহায়তা পাবেন সাধারণ মানুষ।
হার্ভার্ড বনাম হোয়াইট হাউস: অনুদান বন্ধের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামল বিশ্ববিদ্যালয়
এদিকে, দিঘায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি হওয়া জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। এই উপলক্ষে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। “যাঁরা দিঘা যেতে পারবেন না, তাঁদের জন্য ব্লকে ব্লকে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে,” বলে জানান তিনি। ধর্মীয় আবেগকে সম্মান জানিয়েই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি। তিনি আরও বলেন, “দিঘা আরও বড়ো হবে। ধর্মীয় ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নতুন মাত্রা পাবে এই শহর।” এই দুই ঘোষণায় স্পষ্ট, প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রাজ্যের ধর্মীয়-সামাজিক পরিমণ্ডলকে গুরুত্ব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। একদিকে যেমন অশান্তি কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা, অন্যদিকে ধর্মীয় সংস্কৃতি ও পর্যটনের প্রসার—এই দুই দিক সামলেই এগোচ্ছে রাজ্য সরকার।