নববর্ষের আগে গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বনগাঁ বাটার মোড় এলাকার পরপর ন’টি দোকান। শনিবার ভোররাতে এই অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন ভোর প্রায় তিনটে নাগাদ বাটার মোড়ের একটি দোকানে প্রথম আগুন দেখতে পান পথচারীরা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। দোকানগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি জুতোর এবং ব্যাগের দোকান থাকায় দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের দোকানগুলিতেও। খবর পেয়ে বনগাঁ দমকল কেন্দ্র থেকে তিনটি ইঞ্জিন এবং গোবরডাঙ্গা থেকে আরও একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এছাড়াও বনগাঁ পুরসভার জলের গাড়িও আগুন নেভানোর কাজে লাগানো হয়। টানা প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল শেঠ এবং বনগাঁ থানার আইসি। গোপাল শেঠ জানান, “আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই বনগাঁ দমকল, পুরসভা এবং সাধারণ মানুষ একসাথে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। বাটার মোড়ের যেসব অস্থায়ী দোকান ছিল, তার মধ্যে ন’টি দোকান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গিয়েছে। পুরসভা এই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবে।”দমকল বিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
সামশেরগঞ্জে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ডাকা হল বিশেষ পুলিশ বাহিনী
উলেখ্য, নববর্ষের আগে এমন ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতিতে কার্যত দিশেহারা ব্যবসায়ীরা। এক ব্যবসায়ীর কথায়, “বছরের এই সময়টায় আমরা একটু ভাল বিক্রির আশা করি। তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল। এখন কিভাবে ঘুরে দাঁড়াব, জানি না।”প্রয়োজন হলে প্রতিবেদনের দৈর্ঘ্য বা নির্দিষ্ট অংশ আরও সংক্ষিপ্ত বা বিস্তৃত করে দিতে পারি। বলো কীভাবে চাও।