মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও সংলগ্ন অঞ্চলে ফের অশান্তির সুর। ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিকে কেন্দ্র করে ক্রমশ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে জেলার একাধিক এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে বাছাই করা ২৩ জন পুলিশকর্তা ও কর্মীকে ‘বিশেষ ডিউটি’-র জন্য সামশেরগঞ্জ থানায় রিপোর্ট করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিজিপি (আইনশৃঙ্খলা) এর তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে রবিবার সকাল থেকেই চারদিনের বিশেষ ডিউটির জন্য সামশেরগঞ্জ থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের।
এদিকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ফরাক্কার মহাদেবনগর নিমতলা এলাকাতেও। এলাকাবাসীর অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় সেখানে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। হাঁসুয়া, তলোয়ার-সহ একাধিক ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাজ্য পুলিশের বিশাল বাহিনী। দ্রুত হস্তক্ষেপে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জ থানার ওসি শিবপ্রসাদ ঘোষকে সরিয়ে তাঁর স্থানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অমিত ভগতকে। নতুন অফিসার দায়িত্ব নিয়েই এলাকায় কড়া নজরদারি শুরু করেছেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে রাজ্যের শীর্ষ পুলিশকর্তারাও সক্রিয় হয়েছেন। হাওড়া সিপি, চন্দননগর কমিশনারেট, সিআইডি-র ডিজি, দার্জিলিং রেঞ্জের ডিআইজি-সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিকদের কাছে বাছাই করা পুলিশদের সামশেরগঞ্জে পাঠানোর নির্দেশ পাঠানো হয়েছে শনিবার রাতেই।
আবারও কাঁপল মায়ানমার, রবিবার সকালের ভূমিকম্পে আতঙ্ক
অন্যদিকে, সুতি, ধুলিয়ান ও সামশেরগঞ্জ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। চলছে টহলদারি ও রুট মার্চ। এলাকায় আপাতত নতুন করে কোনও হিংসার খবর না মিললেও, পরিস্থিতি রয়ে গিয়েছে যথেষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার নিজে উপস্থিত থেকে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি হাই কোর্টের নির্দেশে মোতায়েন হওয়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া তৎপরতায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও, গোটা মুর্শিদাবাদ জুড়ে চাপা উদ্বেগ বিরাজ করছে।