আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ঘিরে সাম্প্রতিক আন্দোলনে দলের চিকিৎসক সংগঠনের ব্যর্থতার দায় সরাসরি তুলে ধরা হয়েছিল দলীয় অন্দরে। তারই প্রেক্ষিতে চিকিৎসক মহলে নতুন করে সংগঠন গড়ার পথে হাঁটল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হল ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন’ (WBJDA)। নতুন এই সংগঠনের নেতৃত্বে থাকছেন রাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী তথা চিকিৎসক শশী পাঁজা। মূলত ইন্টার্ন, হাউস স্টাফ, জুনিয়র ও সিনিয়র রেসিডেন্টদের নিয়ে এই সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে।
উলেখ্য, তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠন ‘প্রোগ্রেসিভ ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন’ (PDA)-এর কার্যক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আরজি কর আন্দোলনের সময়ে। অনেকেই মনে করছেন, PDA যদি সময়মতো সক্রিয় ভূমিকা নিত, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে অপ্রস্তুত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হত না। এমন পরিস্থিতিতে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী প্রকাশ্যে চিকিৎসক নেতাদের ভৎসর্নাও করেন।এই ঘটনার পরপরই পুরনো নেতৃত্বকে সরিয়ে ‘প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশন’ (PHA) গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় দল। এরই অধীনে WBJDA-র পথচলা শুরু। নতুন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সচিব, সাংগঠনিক পদে স্থান পেয়েছেন তরুণ এবং নবীন চিকিৎসকরা। তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে প্রতিনিধি রাখা হয়েছে এই কমিটিতে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে মেডিক্যাল কলেজভিত্তিক পৃথক কমিটিও গঠন করা হবে। জুনিয়র চিকিৎসকদের দলে টানতে আগ্রহী দল। শশী পাঁজা কিছুদিন আগেই জানিয়েছেন, ইন্টার্ন, হাউস স্টাফ, জুনিয়র ও সিনিয়র রেসিডেন্টরা যেন WBJDA-তে নাম নথিভুক্ত করেন। সংগঠনের সদস্য হিসেবে থেকে ভবিষ্যতে নেতৃত্বে উঠে আসার সুযোগও পাবেন তাঁরা। রাজ্যজুড়ে সংগঠনকে বিস্তৃত করার লক্ষ্যেই জেলা ও কলেজভিত্তিক ইউনিট তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
২০০৮ সালের ১১ নভেম্বর মুম্বই মলার মূল অভিযুক্ত ও ষড়যন্ত্রকারী তাহাউর রানা এখন ভারতের হেফাজতে
প্রসঙ্গত, দলের এক চিকিৎসক নেতা বলেন, "আরজি কর আন্দোলনের সময় বামপন্থী সংগঠন 'জয়েন্ট ডক্টর্স ফোরাম' এবং তাদের জুনিয়র ডাক্তাররা যেভাবে কার্যত নেতৃত্ব দিয়েছিল, তার কোনও জবাব আমরা দিতে পারিনি। এখন তারই ঘাটতি পূরণ করতে চাই আমরা।"নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে দল যে চিকিৎসক মহলে নিজের ভিত্তি শক্ত করতে চাইছে, তা স্পষ্ট। জুনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে সংগঠন গড়ে তৃণমূল একদিকে যেমন ভবিষ্যতের নেতৃত্ব তৈরি করতে চাইছে, তেমনই চাইছে আন্দোলনের সময় আরও সংগঠিত ও দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠার ভিত গড়ে তুলতে।