স্যালাড স্বাস্থ্যকে কতখানি ভাল রাখে -ডায়াবিটিসের রোগী হলে কী খাব, কী খাব না এই ভাবনা চলতেই থাকে। অনেকের ধারণা ভাত খেলে সুগার বাড়বে, আবার কারও মতে খাবার পাতে সব্জি রাখলে শর্করা বৃদ্ধির আশঙ্কা কম। কিন্তু পুষ্টিবিদরা কী বলছেন জানেন? ডায়াবিটিসে ভাত-রুটি খাওয়ায় কোনও দোষ নেই। শুধু পরিমাণের দিকে নজর রাখতে হবে আর সঙ্গে এক থালা স্যালাড নিতে হবে। এতেই বশে চলে আসবে রক্তে শর্করার মাত্রা। লাঞ্চ হোক বা ডিনার, সঙ্গে স্যালাড রাখা জরুরি। তাতে শসা, পেঁয়াজ, টম্যাটো থেকে গাজর, মুলো, লেটুস, লেবুর রস সবই যোগ করতে পারেন। নিউট্রিশনিস্ট ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রথমত, ভাত-রুটির সঙ্গে স্যালাড খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যায় না এবং হজম খুব ভালো ও তাড়াতাড়ি হয়।’ এই কারণেই ডায়াবিটিসের রোগী না হলেও স্যালাড খাওয়া উপযোগী বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদ।
বর্ষায় জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ থেকে দূরে থাকতে বেশি করে খান এই ৩ খাবার
ডায়াবিটিসে সব সময় খাবারের গ্লাইসেমিক সূচক দেখা হয়। অর্থাৎ, যে খাবারে কার্বোহাইড্রেটেডের পরিমাণ বেশি, সেগুলো যত কম খাওয়া যায় তত ভালো। তার মানে ভাত-রুটি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া নয়। এই কার্বোহাইড্রেটেডের সঙ্গে ফাইবার রাখলেই ডায়েট ব্যালান্স হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ঈশানী। পুষ্টিবিদ বলেন, ‘স্যালাডে ফল ও সব্জি থাকে। এর মধ্যে ফাইবার রয়েছে। ভারী ও কার্বোহাইড্রেটেড খাবারের সঙ্গে ফাইবার রাখলে চট করে সুগার লেভেল বাড়ে না এবং দ্রুত হজম হয়ে যায়।’ পুষ্টিবিদরা বলছেন , ‘থালাকে চার ভাগে ভাগ করে নিন। এক ভাগে রাখুন ভাত বা রুটির মতো কার্বোহাইড্রেটেড, এক ভাগে প্রোটিন এবং বাকি দু’ভাগে ফাইবার রাখুন। এই দুই ভাগের মধ্যে এক ভাগে স্যালাড রাখুন এবং আর এক ভাগে সব্জির তরকারি।’ তবে এই নিয়ম শুধু ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য নয়। যে কেউ এ ভাবে খাবার খেতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, ডায়াবিটিসের রোগী না হলেও রোজের পাতে স্যালাড রাখতেই হবে। এতে খাবার যেমন দ্রুত হজম হবে, তেমনই শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ।