দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করছে বর্ষা। যদিও প্রতিবছরের মতো জুনের ১০-১১ তারিখে নয়, এবছর কিছুটা বিলম্বিত হয়ে, ১৪ থেকে ১৭ জুনের মধ্যে কলকাতায় মৌসুমী বায়ুর আনুষ্ঠানিক প্রবেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে গরমের দাপট ও দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল শহরবাসী। দিনের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছিল, রাতে তাপমাত্রাও ২৮-৩০ ডিগ্রির নিচে নামছিল না। এই প্রেক্ষাপটে, বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া দুটি ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপ পরিস্থিতি বদলে দেয়। ভারতের আবহাওয়া দফতর (IMD) জানিয়েছে, এই আবহাওয়াগত পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের পথ সুগম হয়েছে।
বাংলা ক্যালেন্ডারের আষাঢ় মাসের শুরুতেই বর্ষার আগমন একদিকে যেমন সাহিত্যের পরতে পরতে বাঙালির আবেগকে উস্কে দেয় — তেমনি বাস্তব জীবনে নিয়ে আসে কৃষিকাজের প্রাণশক্তি। আষাঢ় মানেই ধানচাষের প্রস্তুতি, মাঠে জল, মাটির গন্ধ আর পাটপোড়া সোঁদা বৃষ্টির সুর। তবে শহর কলকাতার বাস্তবতা অন্যরকম। বর্ষা মানেই রাস্তায় জল জমা, ট্রাফিক জ্যাম, অফিস ফেরত যাত্রীদের দুর্ভোগ। তাই শহরবাসীর কাছে বর্ষা একসঙ্গে স্বস্তি এবং পরীক্ষা। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস বলছে, ১৬ জুনের পর থেকেই নিয়মিত বৃষ্টিপাত দেখা যাবে দক্ষিণবঙ্গ ও কলকাতার বিভিন্ন জেলায়। আকাশ থাকবে মেঘলা, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে প্রতিদিনই।