বর্ষা মানেই রোমাঞ্চকর আবহাওয়া, বৃষ্টির ছন্দে প্রকৃতির নতুন সজীবতা। কিন্তু এই স্নিগ্ধতা যতই ভালো লাগার হোক না কেন, ত্বক ও চুলের ক্ষেত্রে বর্ষা নিয়ে আসে এক ভিন্নরকম চ্যালেঞ্জ। বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় সংক্রমণ, ব্রণ, খুশকি, চুল পড়া—সবকিছুই যেন বেড়ে যায় হঠাৎ করেই। তাই দরকার বর্ষাকালীন বিশেষ যত্ন, তাও আবার ঘরোয়া উপায়ে।
বর্ষাকালে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে ঘাম ও ধুলো মিশে ত্বকে জমে তৈরি করে ব্রণ, র্যাশ ও ফাঙ্গাল ইনফেকশন। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকে সমস্যা বেশি দেখা যায়।
ত্বকের যত্নের ঘরোয়া পদ্ধতি: মুলতানি মাটি ও গোলাপজল: সপ্তাহে ২-৩ বার এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষিত হয় ও রোমছিদ্র পরিষ্কার থাকে।
বেসন ও দইয়ের প্যাক: প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে, ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল রাখে।
অ্যালোভেরা জেল: রাতে ঘুমানোর আগে মুখে লাগালে ত্বকে শীতলতা আসে এবং ব্রণ রোধ হয়।
প্রতিদিন অন্তত দু’বার মুখ পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। হালকা জেল-বেসড ফেসওয়াশ ব্যবহার করা খুবই ভালো ।
চুলের যত্ন: বর্ষার ভেজা ফাঁদে সাবধান!
চুল বর্ষাকালে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বৃষ্টির জল ও আর্দ্রতা চুলের গোড়া দুর্বল করে দেয়, ফলে চুল পড়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া ও খুসকি হওয়া খুবই স্বাভাবিক।
সোশ্যাল মিডিয়া ও বিষণ্ণতা: ভার্চুয়াল বন্ধুত্বের আড়ালে নিঃসঙ্গতার ছায়া
চুলের যত্নের ঘরোয়া টিপস:
মেথি বাটা ও দই: খুশকি দূর করে এবং স্ক্যাল্প ঠান্ডা রাখে। সপ্তাহে একবার লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
পেঁয়াজের রস: নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে ও চুল পড়া রোধ করে।
নারকেল তেল ও লেবুর রস: স্ক্যাল্পে মালিশ করলে চুল নরম হয় ও খুশকি কমে।
বৃষ্টিতে চুল ভিজলে সঙ্গে সঙ্গে শুকিয়ে নিন ও মাথা ধুয়ে ফেলুন। কখনো ভেজা চুল বেঁধে রাখবেন না।
ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক যত্নে আটকে নেই। বর্ষায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় বলে খাবারে বাড়তি সতর্কতা দরকার। পুষ্টিকর ও সুষম আহারই ভিতর থেকে সৌন্দর্য আনে।
ভিটামিন C ও E সমৃদ্ধ ফল যেমন আমলকি, লেবু খান।
বাদাম, কাজু, দুধ ও ডিম – এগুলিতে থাকা প্রোটিন ও ফ্যাটি অ্যাসিড চুল ও ত্বকের বন্ধু।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন, কারণ বর্ষায় তৃষ্ণা কম লাগলেও শরীরে জলের ঘাটতি হয়।