Flash News
  1. ভারতের উপর থেকে ট্রাম্প-ট্যারিফ প্রত্যাহারের পথে আমেরিকা
Monday, September 22, 2025

সিকিম সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

banner

journalist Name : Bidisha Karmakar

#Pravati Sangbad Digital Desk :

আগামী ২৯ মে সিকিম সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সিকিমের ৫০তম রাজ্য প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন তিনি। এই সফর শুধুমাত্র এক উৎসবের সাক্ষী নয়, বরং সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


প্রসঙ্গত,  প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রধান উপলক্ষ্য সিকিমের রাজ্য দিবস উদযাপন হলেও, এ সফরের মধ্য দিয়ে রাজ্যবাসীর সঙ্গে এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বার্তা দিতে চাচ্ছেন মোদি। জানা গেছে, গ্যাংটকের পালজোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকবেন প্রায় ১ লক্ষ মানুষ। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও পর্যালোচনা করবেন।সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে রাজ্য প্রশাসন ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি, তবে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে সফরের রূপরেখা পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর সিকিম সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন সীমান্তবর্তী এলাকায় চীনা আগ্রাসন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তান ভারতের মাটিতে পালটা হামলা চালায়, যার পেছনে ছিল চীনের সক্রিয় সমর্থন। অস্ত্র, প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সহযোগিতার মাধ্যমে পাকিস্তানকে সহায়তা দিয়েছে বেইজিং। এই প্রেক্ষাপটে, চীন সীমান্তবর্তী সিকিম সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদির উপস্থিতি স্পষ্টতই একটি কৌশলগত বার্তা বহন করছে। সিকিমে ভারতের সার্বভৌমত্ব ও সুরক্ষা নিয়ে তাঁর অবস্থানকে জোরদার করার পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক মহলে একটি সুস্পষ্ট বার্তা দেওয়াও এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। ভারত ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভ করলেও সিকিম তখনও একটি স্বাধীন রাজতন্ত্র ছিল, ভারতের প্রটেক্টরেট রাজ্য হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৫০ সালের ভারত-সিকিম শান্তি চুক্তির মাধ্যমে ভারতের হাতে সিকিমের প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্রনীতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার দায়িত্ব এলেও অভ্যন্তরীণ শাসন সিকিমের হাতেই ছিল।

বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিতে মোদি সরকারের কাঁচি, ব্যবসায়ীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

পরবর্তীতে, ১৯৭৩ সালে রাজতন্ত্রবিরোধী আন্দোলনের জেরে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে ভারতের সঙ্গে একটি বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষর করে সিকিমের রাজা। চূড়ান্ত পর্বে, ১৯৭৫ সালের ১৪ এপ্রিল গণভোটের মাধ্যমে সিকিম ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৬ মে, ১৯৭৫ তারিখে সিকিম ভারতের ২২তম রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন সিকিম সফর একদিকে যেমন রাজ্যের জনগণকে শুভেচ্ছা জানানোর এবং উন্নয়নমূলক প্রকল্পে অংশ নেওয়ার সুযোগ এনে দিচ্ছে, তেমনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের অবস্থান ও নিরাপত্তা জোরদারের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবেও প্রতীয়মান হচ্ছে। সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই সফরের প্রতিটি পদক্ষেপের দিকে নজর থাকবে সারা দেশের।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

রাজনৈতিক দেশ
Related News