উত্তরাখণ্ডে ফের এক মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পাঁচজন পর্যটক। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ উত্তরকাশী জেলার ভাগীরথী নদীর কাছে এক পাহাড়ি খাদে পর্যটকবাহী হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুইজন। বর্তমানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে, আর ঘটনাস্থলে জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেরাদুন থেকে ছাড়া একটি চার্টার্ড হেলিকপ্টারে মোট সাতজন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের গন্তব্য ছিল হারসিল হেলিপ্যাড। কিন্তু মাঝপথেই হেলিকপ্টারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভাগীরথী নদীর পার্শ্ববর্তী এক গভীর খাদে পড়ে যায়। স্থানীয়রা বিকট শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন প্রশাসনকে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উত্তরাখণ্ড পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF), দমকল কর্মী ও অ্যাম্বুল্যান্স। বহু চেষ্টার পর পাহাড়ি পথ বেয়ে নিচে নেমে উদ্ধার করা হয় মৃতদেহগুলি। এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধারের পর হেলিকপ্টারে করেই পাঠানো হয়েছে কাছাকাছি চিকিৎসাকেন্দ্রে। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হেলিকপ্টারে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উলেখ্য, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি এক টুইট বার্তায় লেখেন, “উত্তরকাশীর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো পর্যটকদের আত্মার শান্তি কামনা করি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা। আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে। রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে।‘’ পর্যটন মরশুমে এমন দুর্ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার সমস্ত হেলিকপ্টার পরিষেবা সংস্থাগুলিকে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনা উত্তরাখণ্ডের পর্যটন নিরাপত্তা পরিকাঠামোর আরও জোরদার পর্যালোচনার দাবি তুলেছে।