কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে বড় পরিবর্তন এসেছে। দীর্ঘ নয় বছর পর অবশেষে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। এর পরই লিবেরাল পার্টি নির্বাচন আয়োজন করে এবং তাতে জয়ী হন ৫৯ বছর বয়সী মার্ক কার্নি। ৮৬ শতাংশ ভোট পেয়ে তিনি পার্টির নেতৃত্বে এগিয়ে যান, হারিয়ে দেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে জাস্টিন ট্রুডো নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর পর থেকে কানাডায় নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে জোরালো আলোচনা শুরু হয়। বিগত এক বছরে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে পতিত হয়, এবং তার অ্যাপ্রুভাল রেটিং তলানিতে পৌঁছায়। বিশেষ করে ভারতীয় কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে। দলের মধ্যেই শুরু হয় পদত্যাগের দাবি। একপর্যায়ে ট্রুডো স্বীকার করেন যে, তাকে ইস্তফা দিতে হবে। ট্রুডো তাঁর বিদায়ী ভাষণে আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “কোনও ভুল করলে চলবে না, এই সময়টি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা কোনো কিছুই প্রাপ্তি নয়। কানাডার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।” জাস্টিন ট্রুডোর বিদায়ের পর মার্ক কার্নির কাছে আশা পূরণের দায়িত্ব নেমেছে। তিনি বর্তমানে কানাডার লিবেরাল পার্টির নেতৃত্বে আসছেন। রাজনীতিতে তিনি তুলনামূলক নবাগত হলেও বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তির বিষয়ে আশাবাদী তিনি। একাধিক আন্তর্জাতিক চুক্তি ও আলোচনায় অভিজ্ঞ কার্নি কানাডার পরবর্তী অর্থনৈতিক পথচলা সম্পর্কে বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়নের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
আমেরিকা পাকিস্তানকে বিপজ্জনক দেশের তালিকায় রেখেছে
উলেখ্য, জাস্টিন ট্রুডোর দীর্ঘ প্রধানমন্ত্রীত্ব শেষে নতুন নেতৃত্বের পথে কানাডা এগোচ্ছে। বিশাল পরিবর্তনের মধ্যে একটি নতুন এবং শক্তিশালী নেতৃত্বের ওপর জাতীয় সমর্থন নিয়ে শুরু হচ্ছে এই অধ্যায়। ট্রুডোর কষ্টসাধ্য বিদায়, দেশের জন্য তার অবদান এবং তার ভুলগুলো নিয়ে কানাডা এখন এক নতুন কিপার হাতে। এখন দেখা যেতে পারে, মার্ক কার্নি কানাডাকে এক নতুন দিগন্তের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন কি না। তাঁর নেতৃত্বে দেশ এক নতুন অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক পথ খুঁজে পাবে বলে প্রত্যাশা। তবে ট্রুডোর দীর্ঘ সময় ধরে থাকা প্রধানমন্ত্রীত্বের ছায়া কাটিয়ে কানাডায় এক নতুন যুগ শুরু হতে যাচ্ছে।