চলছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, এবং এরই মধ্যে ফল প্রকাশের দিন জানিয়ে দিলেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। এই বছর ২০২৫-এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন প্রায় ৫ লক্ষ ৯ হাজার পরীক্ষার্থী, যা গত বছর প্রায় ৮ লক্ষের মতো ছিল। এদিকে, এবারের পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমার পেছনে রয়েছে ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলের প্রভাব, যেখানে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে কম।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিনও স্পষ্ট করেছেন সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ হওয়ার মাত্র ৭ দিনের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট প্রকাশিত হবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, "এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল মার্চ মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ হতে পারে,"—এমনটাই তাঁর বক্তব্য ছিল। তবে, শুধু ফল প্রকাশের সময় নয়, এবারের পরীক্ষার ব্যবস্থাও বেশ কড়া করা হয়েছে। প্রশ্নফাঁস ও টুকলি ঠেকাতে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ শুরু থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে ময়দানে নেমেছে। এবার থেকে স্কুলে স্কুলে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে, এবং প্রশ্নপত্রের সিল ভাঙার পদ্ধতি পরিবর্তিত করা হয়েছে। আগের মতো থানায় গিয়ে প্রশ্নবিতরণ না করে, এবার সরাসরি ছাপাখানা থেকেই নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্র নির্দিষ্ট স্কুলে পাঠানো হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস : মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং আর্থিক স্বনির্ভরতা
এছাড়াও, আগের মতো প্রধান শিক্ষকের ঘরে সিল ভাঙার বদলে এবার সরাসরি ক্লাসরুমে চলে যাচ্ছে প্রশ্নপত্র, যা নতুন একটি ব্যবস্থা বলে জানা গেছে। এদিকে, সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বীরভূমের স্কুলগুলোতে পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি এবং পরীক্ষার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে এসেছিলেন। এই বছর উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা শুরু হয়েছে ৩ মার্চ, এবং পরীক্ষা শেষ হবে ১৮ মার্চের মধ্যে। সারা রাজ্যের মধ্যে পরীক্ষার পরিবেশ স্বচ্ছ ও নির্ভুল করতে সংসদ আরও নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করবে। এই সব পদক্ষেপের মাধ্যমে, একদিকে যেমন প্রশ্নফাঁসের মতো অনিয়মের মোকাবিলা করা যাবে, তেমনি অন্যদিকে পরীক্ষার ফলাফল আরও নির্ভুল এবং অনবচ্ছিন্নভাবে ঘোষণা করা সম্ভব হবে।