বিশ্ব নারী দিবসে প্রতি বছর তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস এক বিশাল পদযাত্রার আয়োজন করে, যা এবার আরও বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী, একাধিকবার এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন, এবং এবারের পদযাত্রা নারীদের প্রতি তৃণমূলের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং মহিলাদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পের প্রতি সমর্থন জানাতে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এবার, নারী দিবসের ৫০ বছরে তৃণমূল কংগ্রেস একটি নতুন স্লোগান নিয়ে মাঠে নামছে—"দিদি বাংলার ঘরে ঘরে..."। এই স্লোগানকে সামনে রেখে, ৮ মার্চ শনিবার বিকেল চারটের সময় রবীন্দ্রসদন থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত একটি বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, জেলার প্রতিটি কোণে শাসক দলের মহিলা সংগঠন আলাদা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগেই মহিলাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই পদযাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে মহিলা ভোটারদের বিপুল সমর্থন লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, যা দলটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে মহিলাদের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন, যেমন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, রূপোশ্রী, কন্যাশ্রী ইত্যাদি। এই প্রকল্পগুলি মহিলাদের আর্থিক এবং সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে এবং তৃণমূলের জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হয়েছে।বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে, তৃণমূল কংগ্রেস এবার মহিলা ভোটারদের সঙ্গে নিবিড় জনসংযোগ তৈরির উদ্দেশ্যে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার নারী সুরক্ষা এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচি মহিলাদের জন্য সরকারের করা বিভিন্ন উদ্যোগগুলো তুলে ধরারও একটি সুযোগ হতে চলেছে।
প্রথম বৈঠকেই দেখা মিললনা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! কেন?
উলেখ্য, বিগত দিনগুলোতে তৃণমূলের সমস্ত নির্বাচনী প্রচারে মহিলাদের সমর্থন বড় ভূমিকা রেখেছে এবং দলের মূল শক্তি হিসেবে নারীদের সামনে রেখে আগামী নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই নারীশক্তিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য, ৮ মার্চের এই পদযাত্রা একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মহিলাদের এক সম্পর্কের কথা উল্লেখযোগ্য, যিনি অনেক মহিলার কাছে 'কাছের মানুষ' বা 'জননেত্রী' হিসেবে পরিচিত। এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে, তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সংগঠন বিশেষভাবে মহিলা ভোটারের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। এই কর্মসূচি নারীদের জন্য সরকারের নানান উন্নয়নমূলক পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে, মহিলাদের জন্য আরও অধিক উন্নয়ন এবং সুরক্ষার বার্তা পৌঁছানোর মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস আগামী নির্বাচনের জন্য একটি শক্তিশালী সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে চায়।