উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় মানা গ্রামে আচমকা তুষারধসের কারণে অন্তত ৫৭ জন শ্রমিক আটকে পড়েছেন। ভারত-চিন সীমান্তের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ওই সময় রাস্তার কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। তুষারধসের ফলে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েন তাঁরা। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করেছে রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত ১০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তবে বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) এবং বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও)-র সদস্যরা। বিআরও-র এক ইঞ্জিনিয়ার, সিআর মীনা সংবাদসংস্থা এনআইএ-কে জানান, তুষারধসটি বিআরও-র একটি ক্যাম্পের কাছাকাছি ঘটেছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, প্রায় তিন থেকে চারটি অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তবে, আবহাওয়ার অবস্থা প্রতিকূল থাকায় উদ্ধারকাজে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ধারকাজে বিপত্তি দেখা দিচ্ছে ভারী তুষারপাতে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। এদিকে, উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরও অবিরাম ভারী তুষারপাতে বিপর্যস্ত। শুক্রবার সকাল থেকে তুষারপাত শুরু হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক বরফ জমে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে যান চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়েছে। বানিহাল ও কাজিগুন্দের কাছে জাতীয় সড়কের উপর বরফের স্তর জমে যাওয়ায় যান চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে।
কলকাতার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পূর্ণাঙ্গ পরিষেবা
উলেখ্য, হিমাচল প্রদেশের লাহুল এবং স্পিতিতেও চলছে ভারী তুষারপাত। এই দুই অঞ্চলের পুলিশ তুষারধসের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। ভারতীয় মৌসম ভবন জানিয়েছে, আবহাওয়ার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এবং পার্বত্য এলাকাগুলোর জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া, মৌসম ভবন জানিয়েছে, উত্তরাখণ্ডসহ অন্যান্য পার্বত্য অঞ্চলে শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এই বিপজ্জনক আবহাওয়ার পরিস্থিতির মধ্যে উদ্ধারকাজের জন্য সকলকে দ্রুততর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।