পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে রাজ্যের চিকিৎসকদের জন্য এক বিশেষ ঘোষণা করেছেন। রাজ্যের সমস্ত স্তরের চিকিৎসকদের বেতন এবং ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের ইন্টার্ন, হাউসস্টাফ, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি, পোস্ট ডক্টরেট ট্রেনির পাশাপাশি সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তাররা উপকৃত হবেন।
১) ইন্টার্ন, হাউসস্টাফ, পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি, পোস্ট ডক্টরেট ট্রেনিদের বেতন ১০,০০০ টাকা বাড়ানো হবে।
২) সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের বেতন ১৫,০০০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৩) ডিপ্লোমাধারী সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের মাসিক বেতন ছিল ৬৫,০০০ টাকা, যা বেড়ে ৮০,০০০ টাকায় ঠেকেছে।
৪) পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের বেতন ছিল ৭০,০০০ টাকা, যা বাড়িয়ে ৮৫,০০০ টাকা করা হয়েছে।
৫) পোস্ট ডক্টরেট সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের মাসিক বেতন এখন এক লাখ টাকা হবে, বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উলেখ্য, এই নয়া বেতন ব্যবস্থা কবে থেকে কার্যকর হবে, সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিস্তারিত কিছু জানাননি। রাজ্য সরকারের সমস্ত ডাক্তারদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা এমন এক সময়ে করা হলো, যখন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বাড়ানোর দাবিতে ক্ষুব্ধ। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বর্তমানে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ১৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন। এবারের বাজেটে সেই ভাতার পরিমাণ ৪ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে সরকারি কর্মচারীরা ১৮ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাবেন।
আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের পরিষেবা দেওয়ার ব্যাপারে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, সমস্ত চিকিৎসকদের সরকারি হাসপাতালে ন্যূনতম আট ঘণ্টা পরিষেবা দিতে হবে। এই সময় কোনো ধরনের গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। সরকারি পরিষেবা দেওয়ার পর চিকিৎসকরা বেসরকারি হাসপাতালে প্র্যাকটিস করতে পারেন, তবে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা আগে দিতে হবে। এমনকি, প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সময় যদি কোনো রোগী আসে, তবে তাকে সরকারি হাসপাতালে ডেকে চিকিৎসা করতে পারবেন ডাক্তাররা। এই ঘোষণা চিকিৎসকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য পরিষেবার মান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।