লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি সরকারকে এই বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছেন এবং অভিযোগ জানিয়েছেন যে, যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের মধ্যে পার্থক্য করা যায়নি। এর ফলে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়েছেন। তিনি দুর্নীতিতে যুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় আনার কথাও বলেছেন।
উলেখ্য, চিঠির বিষয়বস্তু ও যুক্তি অনুযায়ী, এসএসসি-র ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এ প্রসঙ্গে, রাহুল গান্ধী জানান যে, কলকাতা হাইকোর্ট শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়ম খুঁজে পাওয়ার পর পুরো প্যানেল বাতিল করেছিল। গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট সেই রায় বহাল রাখে। এই রায়ের পর, চাকরিহারা শিক্ষকরা প্রায় প্রতিকার আশা করতে পারছেন না। রাহুল গান্ধী আরও উল্লেখ করেন যে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে যে, কিছু শিক্ষক যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন, কিন্তু অযোগ্যদেরও নিয়োগ করা হয়েছে। রাহুল গান্ধী একে গুরুতর অবিচার হিসেবে তুলে ধরেছেন। এছাড়াও, পাঁচ চাকরিহারা শিক্ষক সহ কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের সঙ্গে দিল্লি যান রাহুল। সেখানে তারা রাহুল গান্ধীর কাছে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লেখার আবেদন জানান এবং রাষ্ট্রপতির কাছে সাক্ষাতের জন্য সময় চান। রাহুল গান্ধী তখনই বলেন, রাষ্ট্রপতি তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কিনা, তা তাঁর একান্ত সিদ্ধান্ত। তবে, তিনি রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লেখার কথা বলেন এবং চিঠিতে যোগ্য ও অযোগ্যদের মধ্যে পার্থক্য করা না হওয়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ফলকনুমা এক্সপ্রেস
রাহুল গান্ধী চিঠিতে লিখেছেন, "নবম-দশম শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করেছিল। তারা আমাকে আপনাকে চিঠি লেখার জন্য অনুরোধ করে।" তিনি আরও লেখেন, "কোনও নিয়োগে অযোগ্য ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি দুঃখজনক এবং সেসব নিয়ে কোনো অনিয়মের ঘটনা ঘটলে তা অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় আসা উচিত। কিন্তু, যারা যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের অযোগ্যদের সঙ্গে একভাবে বিবেচনা করা অসম্মানজনক এবং গুরুতর অবিচার।"এখন পর্যন্ত, চাকরি হারানো শিক্ষকরা প্রায় প্রতিকার আশা করতে পারছেন না, এবং তাদের ভবিষ্যতের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাহুল গান্ধীর চিঠি দেশের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতেও এক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছে, যেখানে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন এবং জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়ে তাঁদের অধিকারের জন্য আওয়াজ তুলেছেন।