আলমপুরের থার্মোকল কারখানায় বুধবার এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে একজন কারখানার কর্মী, আকাশ হাজরা, নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে, এবং পুলিশ ও দমকলকর্মীরা আগুনের কারণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছেন।
আলমপুর মোড়ের কাছেই বিশাল আকারের একটি থার্মোকল কারখানা রয়েছে, যেখানে দৈনিক উৎপাদন কাজ চলছিল। ওই দিন দুপুর তিনটার পর কারখানার ভিতর আগুন দেখতে পাওয়া যায়। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং লেলিহান শিখা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। কর্মরত শ্রমিকরা তৎক্ষণাৎ কারখানা থেকে বের হয়ে যান, তবে এক শ্রমিক ঘটনাস্থলে আটকা পড়ে। খবর পেয়ে সাঁকরাইল থানার পুলিশ ও দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।দমকল কর্মীরা ছটি ইঞ্জিন নিয়ে দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে ভিতরের বিভিন্ন জায়গায় তখনও পকেট ফায়ার দেখা যায়। অবশেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়, তবে গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এবং দূর থেকেও আগুনের শিখা স্পষ্ট দেখা যায়।
কারখানার ভিতর আগুন নিভানোর পর এক শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত ব্যক্তির নাম আকাশ হাজরা। পুলিশ ও দমকলের প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, আগুনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। যদিও এর আগে কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে এবং মৃত্যুর কারণ সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা হবে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছিল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশ ও দমকলকর্মীরা ধারণা করছেন, শর্টসার্কিটের কারণে এই আগুন লাগতে পারে। তবে, আরও বিস্তারিত তদন্তের মাধ্যমে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা হবে।
কলকাতা মেট্রোর ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে রবিবার থেকে চালু হচ্ছে পরিষেবা
এছাড়া, কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অগ্নিনির্বাপণের জন্য কর্তৃপক্ষ কী কী ব্যবস্থা রেখেছিল, তা নিয়েও তদন্ত চলছে। থার্মোকল কারখানায় বিপুল পরিমাণ দাহ্যবস্তু থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ ও দমকলকর্মীরা এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছেন। আলমপুর থার্মোকল কারখানায় আগুনের ঘটনা সম্পর্কে সাঁকরাইল থানার পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। কারখানার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এলাকার সাধারণ মানুষও আতঙ্কিত। আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগুনের শিখা বহু দূর থেকেও দেখা গিয়েছে।এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর পুলিশ ও দমকল কর্তৃপক্ষ তাদের তদন্ত অব্যাহত রেখেছেন।