Flash News
  1. ভারতের উপর থেকে ট্রাম্প-ট্যারিফ প্রত্যাহারের পথে আমেরিকা
Monday, September 22, 2025

২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা কাটল: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২,২৩২টি পদে নিয়োগ

banner

journalist Name : Bidisha Karmakar

#Pravati Sangbad Digital Desk :

রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে ২০২২ সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার জটিলতা অবশেষে কাটল। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয়, যেখানে বলা হয়েছে যে, ২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সময় যারা ডিএলএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন) পাশ করেননি, তারাও নিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই রায়ের মাধ্যমে ২,২৩২টি শিক্ষক পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া সহজতর হলো। 

২০২২ সালে রাজ্য সরকার ১১,৭৬৫টি শূন্য প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, টেট (টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট) উত্তীর্ণ প্রার্থীরা, যারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডিএলএড প্রাপ্ত বা প্রথম বর্ষের প্রশিক্ষণ শেষে উত্তীর্ণ, তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। তবে, কলকাতা হাইকোর্টে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল, যেখানে বলা হয়েছিল, প্রশিক্ষণরত বা পাঠরত প্রার্থীরা নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন না। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার রায় পরবর্তীতে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়েছিল, এবং ওয়েবের মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার অধিকার সঙ্কুচিত হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি ওঠার পর, আদালত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে শীর্ষ আদালত জানায় যে, ২০২২ সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য যাদের ডিএলএড প্রশিক্ষণ নেই, তারা চাকরির জন্য যোগ্য হতে পারেন। এর পরই, এই রায় সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়, যা পুরো প্রক্রিয়াটির জটিলতা কাটিয়ে দেয়।


প্রসঙ্গত,  ২০২২ সালের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণরা। তবে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ কিছু প্রার্থীদের ডিএলএড প্রশিক্ষণ  সম্পন্ন হয়নি। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন (এনসিটিই)-এর নিয়ম অনুযায়ী, ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ কিছু প্রার্থী ২০২০ সালে ডিএলএড কোর্স শুরু করেছিলেন, তবে তাদের প্রশিক্ষণ ২০২২ সালের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার আগেই সম্পন্ন হয়নি। এদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য নাম অন্তর্ভুক্তি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে মামলা চলছিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পিএস নরসিমহা ও তাঁর ডিভিশন বেঞ্চের নেতৃত্বে দেওয়া এই রায়ে বলা হয়েছে যে, ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে যারা ডিএলএড পাশ করেননি, তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এর ফলে, ২,২৩২টি পদে নিয়োগের জটিলতা অবশেষে কাটল। এই মামলা শুরু হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এক্ষেত্রে পর্ষদের সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন, তবে পরবর্তীতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্য পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দিয়েছিলেন, যেখানে বলা হয়েছিল, প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। এই রায় সুপ্রিম কোর্টে উঠলে, শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে এবং তারপর ২০২২ সালের পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থীদের ডিএলএড প্রশিক্ষণের শংসাপত্রের বিষয়ে বিবেচনা করে এক গঠনমূলক রায় প্রদান করে। 

ওয়াকফ বিল কী ? চলুন বিস্তারিত জেনে আসি

উলেখ্য,  সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর, ৯৫৩৩ জন চাকরিতে যোগদান করেছেন এবং বাকি ২,২৩২টি পদে নিয়োগ  প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সমাপ্ত হতে চলেছে। তবে, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, ডিএলএড পাশ না করা প্রার্থীদেরও নিয়োগের জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং জটিলতা কাটানোর ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ। এই রায়ের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দীর্ঘদিন ধরে চলা জটিলতা ও বিতর্কের অবসান ঘটল। অনেক প্রার্থী, যারা ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ হয়েও ডিএলএড প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে পারেননি, তাদের জন্য এটি স্বস্তির বার্তা। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং এই সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং আইনি প্রতিষ্ঠার ভূমিকা আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠল।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Related News