নৈহাটির রাজেন্দ্রপুর এলাকায় একটি বরফ তৈরির কারখানা থেকে বিষাক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হওয়ার পর পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভোররাত থেকে শুরু হওয়া এই গ্যাস লিকের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন বহু স্থানীয় বাসিন্দা, যাদের মধ্যে অনেককেই ভর্তি করা হয়েছে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। গ্যাসের বিষক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি, এবং পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক।
উলেখ্য, সকালের দিকে কারখানার ভেতর থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হতে শুরু করে, যা দ্রুত এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। গ্যাসের তীব্র দুর্গন্ধ এবং বিষক্রিয়ায় স্থানীয়রা শ্বাসকষ্ট, বমি এবং মাথাব্যথা মতো সমস্যায় ভুগছেন। বেশ কিছু বাসিন্দা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নৈহাটি দমকল বাহিনী এবং শিবদাসপুর থানার পুলিশ। স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে শুরু করেন। আশঙ্কিত বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং দাবি জানান, এমন বিপজ্জনক কারখানা শহরের মধ্যে আর থাকতে দেওয়া যাবে না। তাদের মতে, এই ধরনের শিল্পকারখানায় রাসায়নিক গ্যাসের লিক হওয়ার মতো বিপদ ঘটলে পুরো এলাকা বিপন্ন হতে পারে। বিক্ষোভের পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে, তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন যে, প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে।
একধাপে ২৪ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি সাংসদদের, বাড়ল ভাতাও
প্রসঙ্গত, দমকল বাহিনী যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে। গ্যাস লিক বন্ধ করতে তারা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও, এখনও পর্যন্ত গ্যাস লিক হওয়া বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়তে থাকায় তাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দমকল বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দিনরাত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে গ্যাসের বিষক্রিয়া এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। নৈহাটির রাজেন্দ্রপুর এলাকার এই দুর্ঘটনা এলাকাবাসী ও প্রশাসনের জন্য বড় ধরনের বিপদ সৃষ্টি করেছে। একটি শিল্পকারখানার কারণে এত বড় বিপর্যয় ঘটেছে, যা স্থানীয়দের জন্য বিশেষত স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি করেছে। এই ঘটনাটি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত ঝুঁকি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।