চৈত্র মাসের শুরুতেই দক্ষিণবঙ্গের তীব্র গরমে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের। বাড়ি থেকে বেরলেই গলদঘর্ম হয়ে উঠছে সবাই। বসন্তের উষ্ণতা তো আছেই, তবে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষার পালা চলছে। একদিকে যখন গরমের প্রভাব বেড়েছে, তখনই স্বস্তির খবর, আগামী বুধবার সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ঝড়-বৃষ্টি শুরু হতে চলেছে। তাতে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চে আবার কালবৈশাখীর আশঙ্কা রয়েছে। একইসঙ্গে, উত্তরবঙ্গেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
উলেখ্য, হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে উত্তর-পূর্ব অসমে সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে, যার প্রভাব দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে পড়বে। এছাড়া, ছত্রিশগড় থেকে কর্ণাটক পর্যন্ত এবং কর্ণাটক থেকে কেরল পর্যন্ত দুটি অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে, যা এই আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণ। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবার উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায় ঢুকেছে, যার ফলে ১৯ মার্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২০ মার্চ, বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমানে অধিক বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে, কালবৈশাখীর সম্ভাবনাও রয়েছে এসব জেলাগুলিতে। ২১ মার্চ, শুক্রবার, দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে, কলকাতায় আবহাওয়া থাকবে মনোরম, এবং তাপমাত্রার খুব বেশি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আসছে কালবৈশাখী! কোন কোন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ?
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ১৯ ও ২০ মার্চ শুষ্ক আবহাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, ২১ মার্চ থেকে সেখানে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে। তাছাড়া, তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে, তবে দিনের তাপমাত্রা থাকবে উষ্ণ, এবং রাতের তাপমাত্রায় আপাতত পরিবর্তন হবে না। বৃষ্টির এই পূর্বাভাসে দক্ষিণবঙ্গের সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর আসলেও, ঝড়-বৃষ্টি ও কালবৈশাখীর কারণে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। অন্যদিকে, উত্তরের জেলা এবং পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাওয়ায়, সাধারণ জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।