বসন্ত এবং হোলি উপলক্ষে রাজ্য সরকার এবার বিশেষভাবে আয়োজন করেছে এক বর্ণাঢ্য বসন্তোৎসব। ১২ মার্চ, বুধবার, ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী-জনপ্রতিনিধি এবং সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই উৎসবের মাধ্যমে বাংলার সর্বধর্ম সমন্বয় এবং শান্তি-সম্প্রীতির বার্তা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বসন্তোৎসবের পাশাপাশি, অনুষ্ঠানে হোলি উৎসব এবং ডান্ডিয়া নাচের আয়োজনও করা হবে। ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ সশরীরে উপস্থিত থাকবেন। উৎসবের সূচনা হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দ করা ‘নীল দিগন্তে ফুলের আগুন লাগল’ গানটির মাধ্যমে, এরপর একে একে স্থানীয় শিল্পীরা তাদের পরিবেশনাও করবেন। এটি রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বসন্ত উৎসবের আয়োজন, যা বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের এক নতুন দৃষ্টিকোণ উপস্থাপন করবে। রাজ্যের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও শান্তি-সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে এই উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে এমনও ধারণা করা হচ্ছে যে, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি শক্তিশালী জনসংযোগ গড়ে তুলবেন।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি ইউক্রেনের
উলেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই কলকাতায় দুর্গা কার্নিভাল শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কার্নিভাল রেড রোডে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষকে কলকাতার সংস্কৃতির সাথে পরিচিত করিয়েছে। এবার বসন্ত উৎসবের মাধ্যমে রাজ্য সরকার এমন এক উদ্যোগের সূচনা করতে চলেছে, যা বাংলা সংস্কৃতির আরো একটি বিশেষ দিককে উদযাপন করবে। ১৪ মার্চ দোল ও ১৫ মার্চ হোলি উৎসবের আগে ১২ মার্চ বাংলায় এই নতুন রঙের উৎসব প্রদর্শিত হবে, যা শুধু উৎসব নয়, বরং বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অনন্য উদযাপন।