আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক বৈঠকে বুধবার একটি পোস্টার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পোস্টারটি সরকারি জমিতে " অনুপ্রবেশকারী এবং পাচারকারীদের গুলি করে মারা হবে!” বলে লেখা ছিল, যা দেখে মুখ্যমন্ত্রী তার মোবাইল ফোনে ছবি তুলেছিলেন এবং তারপর সভায় সেটি তুলে ধরেন।
ফের কলকাতায় হেলে পড়ল বেয়াইনি বহুতল
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনদপ্তরের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কারণ তিনি জানান যে, এটি একটি অশালীন এবং অসঙ্গত পোস্টার, যা সরকারি জমিতে লাগানো হয়েছিল। তিনি প্রশ্ন তুলেন, "এটি কোনও ভাষা হলো?" এবং আরও বলেন, "আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটা বলুন।" তিনি বলেন, এটি সরকারি জায়গায় ঝুলিয়ে দেওয়া উচিত হয়নি এবং এতে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন ছিল। বনদপ্তরের কর্মকর্তারা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান যে, এই পোস্টারটি বনদপ্তরের পক্ষ থেকে লাগানো হয়নি, বরং এটি বায়ুসেনা দ্বারা লাগানো হয়েছিল। এই তথ্য পাওয়ার পরেও, মুখ্যমন্ত্রী জানান যে, এ ধরনের পোস্টার সরকারী জায়গায় থাকা ঠিক হয়নি এবং বিষয়টি সঠিকভাবে সমাধান করার জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত।
এছাড়া, আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে বলেন, রাজাভাতখাওয়ার বিভিন্ন জায়গায় পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এখন থেকে পর্যটকদের কোনও ফি দিতে হবে না।" তিনি জানান, এ ব্যাপারে ক্যাবিনেট মিটিং ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং পর্যটকদের ফি আদায়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে আরও উল্লেখ করেন, সাধারণ মানুষ অনেক সময় জানেন না এবং জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে তাঁদের ওপর অত্যাচারও করা হয়। তিনি আলিপুরদুয়ারের ডিএফওদের নির্দেশ দেন, "যদি কেউ ভুল করে জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে চলে যায়, তাহলে তৎক্ষণাৎ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।" এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সরকারের পক্ষ থেকে পর্যটন ও বন বিভাগে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন, যা আলিপুরদুয়ারের নাগরিকদের জন্য ইতিবাচক ফলাফল আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।