মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় নিষিদ্ধ স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগ

banner

journalist Name : Bidisha Karmakar

#Pravati Sangbad Digital Desk:

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক প্রসূতির মৃত্যু এবং আরও দু'জনের আশঙ্কাজনক অবস্থায় যাওয়ার ঘটনার পর নিষিদ্ধ স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগ উঠে এসেছে। এই ঘটনা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর ১৩ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ, মেদিনীপুর মেডিক্যাল হাসপাতালের চিকিৎসায় একটি বিশেষ ধরনের স্যালাইন ব্যবহার করা হয়েছিল, যা রাজ্য সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

উলেখ্য,  শনিবার যখন মেদিনীপুর মেডিক্যালে তদন্তকারী দল উপস্থিত ছিল, তখন খবর আসে যে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সরকারি হাসপাতালে, বিশেষ করে কলকাতার এসএসকেএম, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, আরজিকর, এনআরএস মেডিক্যালসহ অন্যান্য জেলা হাসপাতালে ওই নিষিদ্ধ স্যালাইন ব্যবহার করা হচ্ছে। এই স্যালাইনটি প্রস্তুত করে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস, যার বিরুদ্ধে গত বছর কর্নাটকে পাঁচজন রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল।  এ সংক্রান্ত তদন্তে উঠে এসেছে, চোপড়ার তিনমাইল হাটে অবস্থিত এই কোম্পানির কারখানায় নিম্নমানের স্যালাইন তৈরি করা হয়, যা পরে বিভিন্ন হাসপাতালের মাধ্যমে রোগীদের দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বরে, কর্নাটক ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরো এই স্যালাইন পরীক্ষা করে এবং সেটিকে ব্ল্যাক লিস্টেড করে, দাবি করে যে এতে মানের অভাব রয়েছে এবং এটি রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সেই সময়ই পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতরও এই স্যালাইন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তবে, মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনার পর নতুন করে শোরগোল উঠেছে, কারণ অভিযোগ রয়েছে যে, নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও সরকারি হাসপাতালগুলোতে এই স্যালাইন ব্যবহার করা হচ্ছে।

অনলাইনে লেনদেনের সময় কিউআর কোড স্ক্যান করার সময় নিরাপত্তা সতর্কতা

স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, মেদিনীপুর মেডিক্যালের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই স্যালাইন বা সংশ্লিষ্ট কোনো ওষুধ ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। এদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনাকে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্ল্যাক লিস্টেড কোম্পানির রফা হয়ে থাকতে পারে, এবং সে কারণেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরেও সরকারি হাসপাতালগুলোতে এই স্যালাইন ব্যবহার করা হচ্ছে।


প্রসঙ্গত,  এ ঘটনায় রোগীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এবং বিভিন্ন হাসপাতালের কর্মকর্তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং অবহেলার বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্য সরকারের তরফে সতর্কতা এবং কার্যকর নজরদারি ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ধরনের ঘটনায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরও নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ হয়। রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কীভাবে এসব হাসপাতালগুলোতে নিষিদ্ধ স্যালাইনের ব্যবহার চলছে? কেন ঠিকভাবে নজরদারি করা হলো না? তদন্তের ফলাফল যেহেতু আসতে চলেছে, তাই সকলের চোখ এখন স্বাস্থ্য দফতরের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

স্বাস্থ্য রাজ্য চিকিৎসা
Related News