Flash news
    No Flash News Today..!!
Monday, May 13, 2024

জেনে নিন কোষ্ঠকাঠিন্য কি , এই রোগ হলে তা কিভাবে দূর করবেন?

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

কোষ্ঠকাঠিন্য একটি বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। অনেকের টয়লেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়, কিন্তু পেট পরিষ্কার হয় না। এ নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন তাঁরা। অনেকের টয়লেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়, কিন্তু পেট পরিষ্কার হয় না।একদিনে বা হঠাৎ করে কোষ্ঠ-কাঠিন্য হয় না। বিভিন্ন কারণে এ সমস্যা দেখা দেয়। তবে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্যের পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করে। তাই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোষ্ঠকাঠিন্যটা কী?  
কোষ্ঠ একটি বাংলা শব্দ। যার অর্থ মল। আর কাঠিন্য মানে হল- কঠিন আকারে যখন মলত্যাগ করা। যদি সপ্তাহে ২-৩ বার বা তার কম বার মলত্যাগ হয় অথবা মল যদি অতিরিক্ত কঠিন বা শুষ্ক হয় এবং সন্তোষজনক মলত্যাগ যদি না হয় তাহলে আমরা তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলবো। আর যখন এটা প্রায় ৩ মাস পর্যন্ত দীর্ঘ হয় তাহলে সেটাকে আমরা বলবো দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য।
কারা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগে থাকেন?
জীবনের যে কোন সময় কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তাৎক্ষণিক বিচলিত না হয়ে রোগীকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কোনো রোগীর যদি রক্তশূন্যতা দেখা দেয় অথবা মল যদি কালো হয়, তাহলে বুঝতে হবে তার জটিল কোন সমস্যা আছে। সে সময় উচিৎ হবে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।
কোষ্ঠকাঠিন্য যেকোনো বয়সে যে কোন সময় হতে পারে। তবে গবেষনায় দেখা গেছে বয়স্ক লোক বেশি থাকে। পুরুষ এবং মহিলাদের ভেতর মহিলদের কোষ্ঠকাঠিন্যটি বেশি দেখা যায়। আর বাচ্চাদের মধ্য যারা মায়ের দুধ ছেড়ে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক খাবারের দিকে যায়, সেসব বাচ্চারা বেশি এ রোগে ভোগেন। এছাড়াও যেসব রোগী অন্য রোগের ফলে চলাফেরা করতে পারেন না (যাদের শুয়ে বসে থাকতে হয়) তারাও অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য ভুগে থাকেন।
এছাড়াও যদি পেটে ব্যথা থাকে তাহলে তার পেছনের কারণ খুঁজে বের করতে কিছু পরীক্ষা করা লাগতে পারে। সে সময় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা করা উচিত। তা না হলে জটিল আকার ধারণ করতে পারে।
জটিল রোগীকে কী কী ধরনের পরীক্ষা করা হয়?:
এসময় রোগীকে কিছু পরীক্ষা দেওয়া হয় প্রথমত ডাক্তাররা রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ দেখেন, এজন্য রক্ত পরীক্ষা দেওয়া হয়। মলের একটা পরীক্ষা করা হয় থাকে, মলের সাথে রক্ত যায় কি না সেটা দেখা হয়। রক্তের কিছু হরমোন পরীক্ষা হয়, ডায়াবেটিস পরীক্ষা হয় এবং মলদ্বারে কোনো টিউমার, আলসার, পলি আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখা হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কী খাবেন, কী খাবেন না:
এই সময় প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি এবং ফল খেতে হবে। যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে। বিশেষ করে আমরা যদি মৌসুমী ফলের সময় ফল খাই তাহলে শরীরের আঁশের অভাব বেশি কমাবে। 

আর সবজির ভেতরে ঢেঁড়স, পালং শাক, পুঁই শাক, কচুমুখিতে প্রচুর আঁশ থাকে। এগুলো যদি প্রচুর পরিমাণে খাই তাহলে তার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের কিছু খাবার কম খেতে হবে। যেমন: গরু- খাসির মাংস, ফাস্টফুড (কেক, বার্গার), চিকেন ফ্রাই, আলু ফ্রাই, চিপস ইত্যাদি এগুলা সব সময়ই কম খেতে হবে।
এক্ষেত্রে রোগী যদি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন করতে পারেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা সম্ভাব। এছাড়াও কায়িক পরিশ্রম করার চেষ্টা করতে হবে।

জটিলতা:
দীর্ঘ মেয়াদে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অর্শ বা পাইলস, ফিস্টুলা বা ভগন্দর, অ্যানাল ফিশার বা গেজ রোগ, প্রস্রাবের সমস্যা, রেক্টাল প্রোলাপস বা মলদ্বার বাইরে বের হয়ে আসা, ইন্টেসটাইনাল অবস্ট্রাকশন, পেটব্যথা বা ফাঁপা, অরুচি, ক্ষুধামান্দ্যের মতো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। সমস্যার উন্নতি না হলে আক্রান্ত ব্যক্তির থাইরয়েডের সমস্যা, কলোরেক্টাল তথা মলাশয়ের ক্যানসার, ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি, পার্কিনসনস ডিজিজ, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস), অ্যানাল ফিশার, পেরিঅ্যানাল অ্যাবসেস প্রভৃতি কোনো রোগ আছে কি না, তা পরীক্ষা করা দরকার। আফিম, মরফিন, মানসিক রোগের ওষুধ, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও অ্যালুমিনিয়াম এবং ক্যালসিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিড ইত্যাদি কোনো ওষুধ সেবন করছেন কি না, লক্ষ করুন। হঠাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : SANGITA RANA

Related News