অভিযুক্ত চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে জেলে পাঠানোর পর থেকে উত্তাল হয়ে আছে বাংলাদেশ। চিন্ময়কৃষ্ণ ভক্ত ও ইসকন অনুসারীদের হামলায় এক সরকারি আইনজীবীর মৃত্যুর পর থেকে বিতর্ক চরমে। এরপর ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। সেই আবহে উচ্চ আদালতে মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানি ছিল আজ। এরপরই হাইকোর্টের বিচারপতি বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ। এ বিষয়ে তার দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই।' এই আবহে বাংলাদেশে এখনই ইসকন নিষিদ্ধ হচ্ছে না। হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেল রিট পিটিশন। এদিন আদালতের তরফে জানানো হয়, ইসকন নিষিদ্ধ হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার রয়েছে সরকারের। তবে গতকাল সরকার পক্ষের তরফ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছেন, ইসকনকে কট্টরপন্থী ধর্মী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এদিকে চট্টগ্রামে চিন্ময় প্রভুর অনুগামীদের সঙ্গে পুলিশ এবং আইনজীবীদের সংঘর্ষের আবহে আদালতে আজ সরকার পক্ষ জানায়, এখনও পর্যন্ত ৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারের ফলে উত্তাল বাংলাদেশ
উলেখ্য, পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম খুনের ঘটনায় এবার ৭ জন হিন্দুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম - রুমিত দাস, সুমিত দাস, গগন দাস, নয়ন দাস, বিশাল দাস, অমন দাস ও মনু মেথর। পুলিশ দাবি করছে, তারা নাকি খুনের ভিডিয়ো হাতে পেয়েছে। সেই ভিডিয়ো ফুটেজ দেশে শনাক্ত করা হয়েছে ধৃতদের। এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত ছিল বলে দাবি পুলিশের। বাকিদের শনাক্ত করার কাজ চলছে বলে দাবি করে পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুগামী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মোট তিনটি পৃথক মামলা করা হয়েছে। মোট ৭৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেই সব মামলায়। এছাড়াও মামলায় অভিযুক্ত আরও ১ হাজার ৩০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। সেদিনের সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ৩৭ জন।
প্রসঙ্গত, শোনা যায় ঘটনার দিন চট্টগ্রাম আদালত ভবনের মূল ফটকের বিপরীতে রঙ্গম সিনেমা হল–সংলগ্ন বান্ডিল রোড সেবক কলোনি এলাকার একটি গলিতে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে। আদালতে ভাঙচুরের প্রতিবাদে নাকি বেশ কয়েকজন আইনজীবী সেদিন মিছিল করে বান্ডিল রোডে গিয়েছিলেন। সেই সময় সশস্ত্র লোকজন তাঁদের ধাওয়া করেছিল। তখন হোঁচট খেয়ে রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলেন সাইফুল। এরপরই তাঁর ওপর চড়াও হয় অনেকে। সেখানেরই একটি ভিডিয়ো নাকি হাতে এসেছে পুলিশ। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন সেই আইনজীবীকে মারছে। এর মধ্যে দু'জন হেলমেট পরে থাকা ব্যক্তি কুপিয়েছে সাইফুলকে।