অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্টি এবং ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি আলোর মুখ দেখছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি চুক্তির তুলে ধরেন। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের পর এবার বিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও লেবানন। আজ স্থানীয় সময় বুধবার ২৭ নভেম্বর ভোর ৪টা থেকে এ বিরতি কার্যকর হয়েছে।
দু’দিন ধরে বাংলাদেশ যাওয়ার পথে আলু–পেঁয়াজ বোঝাই ১৬০টি ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। বুধবার ভোর থেকেই এটি কার্যকর হয়েছে। ক্তিটি বহাল থাকলে ইসরাইল ও ইরান সমর্থিত এ যোদ্ধাগোষ্ঠীর মধ্যকার এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটবে। গত সেপ্টেম্বরে যুদ্ধটি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
উলেখ্য, চুক্তি অনুযায়ী, ৬০ দিনের অন্তর্বর্তী সময়সীমার মধ্যে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। সেখানে লেবাননের সরকারি বাহিনী পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন করবে। লিটানি নদীর দক্ষিণে তারা অবস্থান নেবেন। এর মধ্যে থাকছে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তের ৩৩টি চৌকি। গত মঙ্গলবার ২৬শে নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক সমাবেশে বলেছেন, এর আগে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আগের মতো শক্তিশালী নেই হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি বাহিনী তাদের কয়েক দশক পিছিয়ে দিয়েছে। তেলআবিব যুদ্ধে লক্ষ্য পূরণ করেছে। এ সময় চুক্তি অমান্য করলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ইতিমধ্যে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। সেদিনই এই হামলার পাল্টা জবাব দেয় ইসরায়েল, যার মাধ্যমে গাজার যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে।হামাসের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সেদিন থেকেই ইসরায়েল সীমান্তে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। তাদের এসব হামলার ফলে ৬০ হাজার ইসরায়েলি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সেপ্টেম্বরে লেবাননে আকাশ ও স্থল হামলার তীব্রতা বাড়ায় ইসরায়েল। ইসরায়েলের হাতে হিজবুল্লাহর বেশিরভাগ শীর্ষ নেতার মৃত্যু হয়েছে। নিহত হয়েছেন প্রায় তিন হাজার ৭০০ মানুষ।