২রা জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা আদালত ধৃত সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিলেন। প্রায় আধ ঘণ্টার শুনানির পরে সরকারি আইনজীবী মফিজুর হক ভুঁইয়ার আবেদন মেনে দায়রা বিচারক মহম্মদ সফিকুল ইসলাম ধৃত সন্ন্যাসীর জামিনের আবেদন খারিজ করেন। বিচারক জানান, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার চিন্ময়ের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে। তাই জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।
মুহাম্মদ ইউনূস কি চায়না চিন্ময় প্রভুর জামিন হোক
উলেখ্য, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের পক্ষে কথা বলেন ঢাকা থেকে আগত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বারোজন আইনজীবী। তাঁরা আদালতকে জানান, চিন্ময়কৃষ্ণ একজন সাধু, তিনি কোনো দাগী আসামি নন। আইনজীবীরা আরও বলেন, কারাগারে থাকার কারণে সাধু চিন্ময়কৃষ্ণ একাধিকবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং তাঁর চিকিৎসা প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে জামিন দেওয়া হলে তা মানবিকতার প্রশ্নে আরও যৌক্তিক হবে।অন্যদিকে, সরকার পক্ষের আইনজীবীরা পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করেন যে, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতাসহ বেশ কিছু মামলায় অভিযোগ রয়েছে এবং পুলিশী তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। তাঁরা বলেন, জামিন দিলে তদন্ত প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে, যা মামলার সুষ্ঠু সমাধানের পথে বাধা সৃষ্টি করবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে, একাধিকবার চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন আবেদন খারিজ হয়ে ছিল। তবুও তাঁর আইনজীবীরা আশাবাদী ছিলেন যে, এবারের শুনানিতে জামিনের সুযোগ তৈরি হবে, কিন্তু আদালত তাঁদের আশায় পানি ঢালেন। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি এবং জামিনের আবেদন সংক্রান্ত বিতর্ক বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবাধিকার নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু করেছে। জনগণের মধ্যে এই মামলার দিকে নজর রয়েছে, এবং বিষয়টি আরো বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আলোচিত হতে পারে।