Flash News
    No Flash News Today..!!
Monday, November 10, 2025

ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি এই ৫টি জুসে কমবে লিভারে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট

banner

journalist Name : Bidisha Karmakar

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বর্তমান সমাজে ফ্যাটি লিভারে ভুক্তভোগী মানুষ ঘরে-ঘরে দেখা যায়। এক্ষেত্রে লিভারে হতে পারে গুরুতর সমস্যা।  আচ্ছা বলুন তো কেন হয় ফ্যাটি লিভার? চলুন জেনে আসি 

ফ্যাটি লিভার হয় কারন, আজকাল আমারা অ্যালকোহল, সিগারেট, কোল্ড ড্রিংক, প্যাকেটজাত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবারকে বেশি পছন্দ করছি। এই কারনে আমাদের লিভারের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এই কারনে আমাদের লিভারে ফ্যাট জমে যাওয়ার কারনে নানান সমস্যা দেখা যায়। লিভারের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কিছু দুর্দান্ত ঘরোয়া টিপস রয়েছে৷ বাড়িতে তৈরি করুন এমন কয়েকটি জুস যা লিভারকে ভালো রাখে। যদি প্রতিদিন এইগুলির একটিও খান তবে ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। তাহলে চলুন কিকি জুস খেলে ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পাবেন? 

১. আমলা জুস- শীতকালে আমলকি পাওয়া যায়৷ আমলার রসে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড, যা লিভারের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি লিভারকে ডিটক্সিফাই করে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। আমলার রস লিভারের প্রদাহ কমাতে এবং ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা থেকে দূরে রাখে। 

২. বেরি জুস – বেরি জুস, যেমন ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং রাস্পবেরি লিভারের জন্য খুবই উপকারী, কারণ এগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এই উপাদানগুলি লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে এবং লিভারকে ভালো রাখে। বেরির রস লিভারের প্রদাহ কমাতে, ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে এবং লিভারের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়ক। এটি লিভারের এনজাইমের মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।   

৩. গ্রিন টি- গ্রিনটিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যাটেচিন। এটি লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। ক্যাটেচিনগুলি এনজাইমগুলিকে সক্রিয় করে যা লিভারে বিষাক্ত পদার্থগুলিকে নিরপেক্ষ করে, যার ফলে লিভারের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া উন্নত হয়। গ্রিন টি লিভারের প্রদাহ কমাতে এবং ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা প্রতিরোধেও সহায়ক। এ ছাড়া গ্রিন টি লিভারের কোষকে ফ্রি র‌্যাডিক্যালের কারণে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, যা লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায়।

৪. ধনের জল- ধনের জল যকৃতের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি লিভার থেকে টক্সিন অপসারণে সহায়ক এবং লিভারের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া বাড়ায়। এই জল যকৃতের প্রদাহ কমায় এবং এর কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও এটি লিভারের চর্বি কমাতে এবং ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর নিয়মিত সেবনে লিভারের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।

৫. আদা ও লেবুর জল – আদা ও লেবুর জল লিভারের জন্য একটি প্রাকৃতিক টনিক। আদার রয়েছে প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যা লিভার পরিষ্কার এবং ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিড যা লিভার থেকে টক্সিন দূর করতে সহায়ক। এটি লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং লিভারের এনজাইম সক্রিয় করে। এটি শরীরের ক্ষতিকারক উপাদান ধ্বংস করতেও সাহায্য করে। আদা-লেবুর জল নিয়মিত সেবনে লিভারের প্রদাহ কমে এবং এর স্বাস্থ্য ঠিক থাকে।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

লাইফস্টাইল
Related News