শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ইউনূসের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা করা হয়। এরপর ইসকনের সন্ন্যাসি চিন্ময় দাস প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর হয়ে আদালতে কাউকে সওয়াল করতে দেওয়া হচ্ছে না। যে আইনজীবী সওয়াল করতে যাচ্ছেন তাঁকে মারধর, হুমকি পেতে হচ্ছে। তাই ওই সন্ন্যাসী জামিন পাচ্ছেন না।
সনাতনী হিন্দুরা সেদিন একজোট হয়ে কাঁপিয়ে দিয়েছে সমগ্র বিশ্বকে।
জানা গিয়েছে, ব্রিটেন তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে। সেই নির্দেশিকা উল্লেখ করা রয়েছে, ‘জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে বাংলাদেশে’। যদিও, বাংলাদেশের কারা বিভাগের ডিজি জানান, গত ৮ই অগস্ট ইউনুস সরকার গঠন হওয়ার পরে চার মাসে ১১ জন শীর্ষস্থানীয় দুষ্কৃতী এবং ১৭৪ জন জঙ্গি জামিনে মুক্তি পেয়েছে।
উলেখ্য, শেখ হাসিনা সরকারের সময় ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়া হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রক্তক্ষয়ী অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের গ্রেফতার করে জেলে ভরেছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের সময় হিন্দু সম্প্রদায় সহ বাংলাদেশের সাংবাদিকরাও সুরক্ষিত নয় বলে অভিযোগ উঠছে। সাংবাদিক মারধর থেকে শুরু করে সরকারি পরিচয়পত্র এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ হারানো সবই ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, আন্দোলনের সময়ে ছিনতাই করা হয়েছিল ৫৮২৯টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং সাড়ে ৬ লক্ষের বেশি গোলাবারুদ।