রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্নার উপস্থিতিতে সোমবার বৈঠকে মেলেনি রফাসূত্র। ঘোষণা মতো আলু সরবরাহ বন্ধ রাখলেন তাঁরা। গত সোমবার আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মন্ত্রীর বৈঠকে অধরা ছিল । ফলে আজ মঙ্গলবার থেকে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতিতে সামিল আলু ব্যবসায়ীরা। আলু সরবারহ বন্ধ রেখেছেন ২৫ হাজার আলু ব্যবসায়ী। রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে দাম বাড়ল আলুর। কোথাও কেজিতে দু’টাকা, কোথাও কোথাও আবার আট থেকে ন’টাকা পর্যন্ত বেড়েছে আলুর দাম। ফলে মঙ্গলবার সকালে বাজারে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন ক্রেতারা।
সোমবার রাত থেকেই রাজ্যের অধিকাংশ হিমঘর থেকে আলু বের হচ্ছে না বলে দাবি আলু ব্যবসায়ীদের। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে রাজ্যের সব পাইকারি আলুর বাজার। সোমবার মধ্যরাত থেকে রাজ্যের অধিকাংশ হিমঘরের শেডে আলুর বস্তা নামেনি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাজারে জোগান কমতে শুরু করে। বর্ধমান, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলায় আলুর দাম বেড়েছে। ফলে আগামী কয়েকদিনেই মধ্যবিত্তের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে চলেছে আলু। আর আলু ব্যবসায়ীদের এই ধর্মঘটের জন্য রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকেই নিশানা করেছেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ফের রাজ্যের ২৮টি মেডিক্যাল কলেজে তদন্তে ED
মঙ্গলবার থেকে চড়া দামে আলু বিক্রি হচ্ছে বর্ধমানের বাজারে। পুলিশ লাইন বাজার থেকে স্টেশন বাজার কিংবা নীলপুর বাজার সব জায়গাতেই খোলা বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা কিলো দরে। চন্দ্রমুখী আলু কিলো প্রতি ৪০ টাকা। প্রসঙ্গত, ভিন রাজ্যে আলু রফতানি নিয়ে জটিলতা না কাটায় লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন রাজ্যের আলু ব্যবসায়ীরা। এই ধর্মঘটের জেরে আজ সকাল থেকেই খুচরো বাজারে বন্ধ আলু সরবরাহ। তবে আজকেই তার প্রভাব খুচরো বাজারে পড়ার সম্ভাবন কম কর্মবিরতি চলতে থাকলে আগামিকাল অথবা পরশু থেকেই খোলা বাজারে আলুর আকাল দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা। বাড়তে পারে দামও।
নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বললেন, মুখ্যমন্ত্রী এভাবে আলু আটকাতে পারেন না, বর্ধমানের ভাল আলু কলকাতায় আসে। গড়বেতা, বাঁকুড়ার আলু যায় ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায়। বিরোধী দলনেতা বলেন, সরকার চালাচ্ছে কিন্তু কৃষি, আনাজ , চাষ সম্পর্ক ধারণা নেই। রাজ্য সরকারের বাস্তব জ্ঞান না থাকার কারণেই বাংলায় আলু নিয়ে নিয়ে জটিলতা বেড়েছে।