গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে শক্তিশালী বিরোধী কণ্ঠস্বর শুনতে চান বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তার জন্য প্রয়োজনে তৃণমূল কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের 'ভালো' নেতানেত্রীদের মানুষের ভোট দিয়ে নির্বাচন করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি। রাজ্যে ২০২৬ এ বিজেপি ক্ষমতায় আসবে।
একটি সর্ব ভারতীয় টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে রূপা গাঙ্গুলি বলেন,
“তৃণমূলের যাঁরা ভাল নেতা আছেন, স্বচ্ছ নেতা আছেন, যাঁদের টিভিতে দেখা যায় না, সেই সব মানুষদের চিনে ২০২৬-এর নির্বাচনে ভোট দেবেন। বিজেপি ভাল প্রার্থী না দিলে ভোট দেবেন না। বামপন্থীদের মধ্যে ভাল প্রার্থী থাকলে, তাকেও জেতানোর দায়িত্ব নিন।”
তৃণমূলের অমিত মিত্র ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অমিত মিত্র কত ভাল লোক। শোভনবাবু কত ভাল লোক, ওঁকে খড়দহ পাঠিয়ে দিয়েছে। ভাল লোকদের সবাই ভুলে যাচ্ছে।” বিধানসভায় বামেদের শূন্য হয়ে যাওয়া বা অধীর চৌধুরীর মতো কংগ্রেস নেতার হার পছন্দ নয় রূপার। তিনি বলেন, “এটা গণতন্ত্রের জন্য খুব খারাপ।”
তিনি বিশ্বাস করেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হবে এবং বাংলায় সরকার গড়বে।
কিন্তু, সেই সরকারের জমানায় শক্তপোক্ত বিরোধী প্রতিনিধিত্ব থাকার পক্ষে সওয়াল করেছেন রূপা।
এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপির কোনও দায়িত্বে নেই রূপা। তবে রয়েছেন দলের জাতীয় কর্মসমিতিতে। রাজনৈতিক জীবন যদি দেখা হয়, তবে পা রেখেই আলো ছিনিয়ে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। মূলত হিন্দি ধারাবাহিক ‘মহাভারত’-এ দ্রৌপদী হিসেবে গোটা দেশ চিনলেও বাংলা আরও অনেক চরিত্র হিসেবে চেনে অভিনেত্রী রূপাকে। রাজনীতিতে যোগ ২০১৫ সালে। প্রথম ও শেষ নির্বাচনে লড়া ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে। হাওড়া উত্তরে পরাজিত হলেও সেই বছরই রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনীত হন। ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রীও ছিলেন।