সবার নজর সুপ্রিম কোর্টে, শুরু হল আরজি কর মামলার শুনানি
যাদবপুর থেকে গড়িয়া পর্যন্ত রাজপথই যেন ক্যানভাস। রং-তুলিতে চলছে প্রতিবাদ।
আর জি কর কাণ্ডের তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি। তার আগে রবিবার ফের রাত দখল। গতকাল দুপুর থেকে দফায় দফায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ পথে নেমে আন্দোলনে শামিল। সোদপুর থেকে শ্যামবাজার ১৪ কিমি মানববন্ধন, আবার কোথাও মিছিলে অংশ নিয়েছেন সমাজের সকল স্তরের মানুষ।
“তিলোত্তমার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই”, বিচার চেয়ে পথে রিকশা চালকরা। হেদুয়া থেকে কলেজস্ট্রিট পর্যন্ত মিছিল করলেন তাঁরা।
কামদুনি, হাথরস, উন্নাও থেকে পার্ক স্ট্রিট এবং আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ‘অকুপাই ধর্মতলা’র ডাক। সোমবার বেলা ৩টে থেকে কলেজ স্কোয়ারে গণজমায়েত। ৫টা নাগাদ মিছিল করে ধর্মতলায় আসবেন প্রতিবাদীরা।
আরজি কর মামলার শুনানির কিছু অংশঃ
পশ্চাৎদেশ ভাঙা না হলে পা ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ঘোরানো যেতে পারে না, এমনটাই বললেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তাঁর দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে এক্স রে প্লেট মিলিয়ে দেখা হোক।
তুষার মেহতা বলেন, ‘ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রথম পাঁচ ঘন্টা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই সময় অসংখ্য লোককে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ দিন পর যখন আমরা তদন্ত শুরু করেছি তখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।’
শ্বাসরোধ করে খুন ও ধর্ষণের কথা বলা হয়েছে ময়নাতদন্তে। এসজি তুষার মেহতা এ কথা উল্লেখ করেছেন আদালতে। তিনি বলেন, এই রিপোর্ট দেখুন আর ফরেনসিক রিপোর্টে কী বলা হয়েছে দেখুন।
আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন, কে ভিডিয়োগ্রাফ করেছে? কোন উল্লেখ নেই। কী তার নাম, কী পদ। উত্তরবঙ্গ লবির তিনজন মহিলা ডাক্তার ছিলেন বলে অভিযোগ তাঁর। তিনি আরও বলেন, সবথেকে বড় রহস্য, দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে মাত্র ১০ টা জিডি এন্ট্রি হয়েছে টালা থানায়।
খুন ও ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে সন্ধ্যা ৬টার পর ময়নাতদন্ত করা যায় না। প্রশ্ন তুললেন এক আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘প্রমাণ সংগ্রহ করার এতক্ষণ পর এফআইআর কেন হল? এমন ঘটনা আমি আমাক ২৭ বছরের কেরিয়ারে দেখিনি। FIR- চাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।’
সুপ্রিম কোর্ট যে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছেন, তা রাজ্যে কতটা কার্যকর হয়েছে, চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি।
তুষার মেহতা জানিয়েছেন, তিন কোম্পানি মহিলা সিআইএসএফ আছে, যাদের থাকার জায়গা নেই। দেড় ঘণ্টার রাস্তা পেরিয়ে যেতে হয়। এ কথা শুনে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, কোথায় থাকছেন তাঁরা? কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, বেশিরভাগ সিআইএসএফ ট্রু হাসপাতালেই থাকছে।
দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে দেওয়া হয় ডেথ সার্টিফিকেট। দুপুর ২ টো ৫৫ মিনিটে ইউডি কেস রেজস্টার হয়। দুপুর ২টো ৫৫ মিনিটে জিডি রেজিস্টার হয়। ৪টে ১০-এ পৌঁছন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। রাত ৮টা ২০ থেকে ১০টা ৪৫ পর্যন্ত তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়। দুপুর থেকে ছবি সংগ্রহ করা হয়েছিল। প্রধান বিচারপতির প্রশ্নে জানালেন কপিল সিব্বল।