#Pravati Sangbad Digital Desk:
যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কার ৬১বছর বয়সী এক নারী তার গর্ভেই নিজের নাতনিকে জন্ম দিয়েছিলেন। সিসিল এলেজ তার সমকামী পুত্র ম্যাথিউ এলেজ এবং তার স্বামী এলিয়ট দোঁহারটির কন্যা সন্তান উমা লুইসের জন্ম দিয়েছেন। কানাডায় সারোগাসি নারীরা অন্যের বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন-তাও আবার বিনেপয়সায় ! গর্ভ ভাড়া করে মা-বাবা হয়েছেন অনেক তারকারা। এবার সেই তালিকায় জায়গা করে নিল সমকামীরাও।
এই সমকামিতা বা সমপ্রেম বলতে বোঝায় সমলিঙ্গের প্রতি “রোমান্টিক আকর্ষণ”,যৌন আকর্ষণ অথবা যৌন আচরণকে বোঝায়। এই ধরনের সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা ব্যক্তিগত বা সামাজিক পরিচিতি,এই ধরনের আচরণ এবং সমজাতীয় ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত কোন সম্প্রদায়কেও এই শব্দটি দ্বারা নির্দেশ করা হয়। আর মহিলা সমকামী বোঝাতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত শব্দটি হল “লেসবিয়ান”এবং পুরুষ সমকামীদের ক্ষেত্রে “গে”, যদিও গে কথাটি প্রায়শ সমকামী মহিলা ও পুরুষ উভয়কে বোঝাতেও সাধারণ ভাবে ব্যবহৃত হয়।
এবার “সারোগসি” ব্যপারটা কি তা সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক। সহজ কথায় “সারোগাসির” অর্থ গর্ভ ভাড়া। কোন দম্পতির অনেক চেষ্টার পর যখন সন্তান লাভের কোন পথ থাকে না,তখন সারোগাসিই হয় তাদের কাছে অন্যতম উপায়। একজন নারীর গর্ভে অন্য দম্পতির সন্তান ধারণের পদ্ধতিকেই সারোগেসি বলে। এই প্রক্রিয়া হয় দীর্ঘকালীন। আইভিএফ পদ্ধিতেতে স্ত্রী ও পুরুষের ডিম্বাণু ও শুক্রাণু দেহের বাইরে নিষিক্ত করে তা নারীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়।
আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ইজরালেই শুধুমাত্র স্বামী- স্ত্রীর যৌথ ইচ্ছায় সারোগাসি করা যেত। সিঙ্গল মাদার যারা তারাও সারোগাসি করতে পারতেন। কিন্তু সমকামী ,ট্রান্সজেন্ডাররা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। মাস কয়েক আগে সারোগাসির মাধ্যমে জন্ম নিতে পারেবন কিনা সেই সিন্ধান্ত জানিয়েছিলেন ইজরায়েলের আদালত । এই যুগান্তকারী রায় কার্যকর হতে ছয়মাস সময় চাওয়া হয়েছিল । কিন্তু এবার আমাদের সুপ্রিমকোর্ট রায় দিয়েছে সমকামীরাও সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন।দীর্ঘদিন ধরে এই রায়ের অধিকারের জন্য লড়াই চলছিল। অবশেষে গত বুধবার থেকে এই রায় কার্যকর হয়েছে এই দেশে। তাই তারা খুশি।
এই সারোগেসির দুই রকমের হয়।
এক. পার্শিয়াল সারোগেসি-অনেকদিন থেকে এটি চলেছে। সন্তান ধারণে এখাণে কোন ভূমিকা পালন করেন না মা। বাবার শুক্রাণু ও মায়ের ডিম্বাণু থেকে জন্ম হয় শিশুর।
দুই. আইভিআএফ সারোগেসি/ট্রু -সারোগেসি -মায়ের ডিম্বাণু নিয়ে ল্যাবে ভ্রূণ তৈরি করা হয়। এরপর সারোগেট মায়ের জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয় ভ্রূণটি। এটি এখন প্রচলিত পদ্ধতি।
অনেকে মনে করেন ,সমকামী দম্পতি যে সন্তানটিকে ধারণ করে ,তার মানসিক গঠন সম্ভব হবে না। কিন্তু মার্কিন দেশে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা হয়েছে,যা সমকামী অভিভাবকত্ব নিয়ে জন্মায় সাধারণ শিশুদের মতই হয়।