#Pravati Sangbad Digital Desk:
সন্ধে হতে না হতেই বাড়ি ফেরার তাড়া! বাড়িতে অপেক্ষা করছে প্রিয় পোষ্যরা। কেউ ভালবাসেন কুকুর তো কেউ বিড়াল। আছে পাখি, খরগোশ আরও কত কী! ডিজিটাল যুগে পোষ্যরা হয়ে উঠেছে প্রিয় বন্ধু। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে পোষ্যরা শুধু সময় কাটানোর জন্য নয়, স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এমনকি মানসিক চাপ কমানোর অন্যতম উপায়।
১) ইমিউনিটি শক্তিশালী করে এবং অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে
বাড়িতে যদি পোষ্য কুকুর থাকে তাহলে বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছেলেবেলা থেকেই শক্তিশালী হতে শুরু করে এবং অ্যালার্জি প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে ওঠে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, বাড়িতে পোষ্য থাকলে ছোটো বাচ্চাদের অ্যালার্জি হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৩৩ শতাংশ কম থাকে।
২) আপনার মুড পরিবর্তনে সাহায্য করবে:
বিশ্বাস করুন চাই না করুন, যে কোনও পোষ্যই আপনার মুড এবং টেম্পারামেন্ট পরিবর্তনের সহায়ক। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাঁরা নানা ধরনের অসুস্থতায় ভুগছেন, তাঁদের পাশে পোষ্য থাকলে অবসাদগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।
৩) রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে :
CDC অনুসারে, পোষ্যেরা উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, বাড়িতে বিড়াল পুষলে মনিবের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৩০ শতাংশ এবং স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৪০ শতাংশ কম থাকে।
৪) হার্ট ভাল রাখে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাকের পেশেন্টরা পোষ্যের সঙ্গে থাকলে তাঁদের আয়ু আরও বেড়ে যায়। এছাড়াও, পোষ্যের মালিকের শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটাই কম থাকে।
৫) ব্যায়ামের সহায়ক পোষ্য:
আপনি হাঁটাচলা করলে আপনার একজন সহচর দরকার। কুকুর এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহচর হয়ে উঠতে পারে। আপনি হঠাৎই ক্লান্ত হয়ে পড়লে কুকুর আপনাকে সক্রিয় রাখতে সহায়তা করবে। এছাড়া কুকুরকে খাওয়ানো, খেলতে নিয়ে যাওয়া, পরিষ্কার করাও আপনার কাছে ব্যায়ামের বিকল্প।
৬) দীর্ঘ আয়ুর সহায়ক:
বিবিধ গবেষণায় দেখা গিয়েছে বাড়িতে পোষ্য থাকলে এবং তার সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় দৈনিক কাটালে আপনার জীবন দীর্ঘ হবে।
৭) আপনার সামাজিক দক্ষতা বাড়বে:
আপনি কি সোশ্যাল স্কিল বাড়াতে চান? সমীক্ষার মতে বাড়িতে পোষ্য থাকলে সামাজিক সম্পর্ক অনেক উন্নত হয়। যে সব বাচ্চারা পোষ্যের সঙ্গে বড় হয়ে ওঠে, তারা অন্যান্য জীবিত প্রাণীর সঙ্গে সুস্থ সম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম হয়।