দই - ঘোলে গ্রীষ্ম! গরমে সুস্থ শরীর পেতে হাতে রাখতেই হবে এদের

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

প্রতিদিন এক বাটি দই হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে সক্ষম। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় এবং এটি শরীর সুস্থ রাখার জন্য অন্যতম খাবার। দুধকে গাঁজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয় দই। এটি আমাদের দেশে বেশিরভাগ পরিবারেই একটি প্রিয় খাবার। শুধুমাত্র স্বাদের জন্য নয় বরং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধার জন্যও এটি জনপ্রিয়। 

    জেনে নিন প্রতিদিন  দই ও ঘোল খাওয়া কেন জরুরি-

 *ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করে* 

    ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করে দই। তাই বিশেষজ্ঞরা নারীদের দই খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। উপকারী এই খাবারে থাকে ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া, যা ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করে। তাই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নিয়মিত দই খান। প্রতিদিন এক বাটি দই খেলে ভালো ফল পাবেন।

      শুধু দই নয়। দই থেকে তৈরী ঘোলের উপকারিতাও অনেক। গ্রীষ্মকালের জন্য একটি দুর্দান্ত পানীয়। ঘোল কোলেস্টেরল কমানো থেকে ত্বক উজ্জ্বল করা-সহ শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে। দই ও জল দিয়ে তৈরি করা হয় ঘোল। ইংরেজিতে একে বাটার মিল্ক বলা হলেও বেশিরভাগ মানুষ এটিকে ঘোলই বলেন।

      বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঘোলে ক্যালোরি খুবই কম মাত্রায় থাকে। ফ্যাটও থাকে না। আর প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম প্রচুর পরিমানে থাকে। তাছাড়াও থাকে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিনের মতো পুষ্টি উপাদান।

    ১. ঘোল পরিপাকতন্ত্রের জন্য খুবই ভাল। এতে তাকে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা হজমে সাহায্য করে এবং পরিপাক উন্নত করে। এটি নিয়মিতভাবে পেট পরিষ্কার করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এছাড়া পেটের সংক্রমণ এবং কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।


২. এটি হাড় ও দাঁতের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ১০০ মিলি ঘোলে প্রায় ১১৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। ক্যালসিয়াম সুস্থ হাড়ের জন্য অপরিহার্য। ক্যালসিয়াম অস্টিওপোরোসিসের মতো ক্ষয়জনিত হাড়ের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। পেশী ঠিক রাখতে এবং নিয়মিত হৃদস্পন্দনের জন্যও ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন।

৩. এতে রয়েছে কোলেস্টেরল কমানোর গুণ। নিয়মিতভাবে ঘোল খেলে রক্তে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তনালী ফুলে যাওয়াও প্রতিরোধ করে। এছাড়া হার্টকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

৪. ঘোলে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের জন্য ভালো। ঘোল ত্বককে উজ্জ্বল ও পরিষ্কার রাখে। এছাড়া ট্যান এবং ব্রণর দাগ দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। এটি ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে। 

৫.ওজন কমাতেও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে ঘোলের। এত প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। আর ক্যালোরি এবং ফ্যাটের পরিমান নূন্যতম। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড এবং এনার্জেটিক রাখে। আর এটি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরাও থাকে। চাই যাঁরা ওজন কমাতে চান তাঁরা ঘোল খেতে পারেন।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Ashapurna Das Adhikary

Related News