Flash News
    No Flash News Today..!!
Monday, November 10, 2025

গরমে শরীরকে সুস্থ রাখবে আম ! ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে রোজ কি আম ঠিক ?

banner

journalist Name : Ashapurna Das Adhikary

#Pravati Sangbad digital Desk:

রোদের তাপে ঘাম ঝরলেও কয়েকদিন ধরে দুপুরের পর থেকে আবহাওয়া বেশ ভাল হয়ে যাচ্ছে। মেঘ, কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি আর তারপর থেকে বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। তবে মে মাস থেকেই তীব্র দাবদাহে পুড়বে বাংলা ইঙ্গিত এমনটাই।

     গরম-ঘামে অস্বস্তিতে সকলেই বিরক্ত হয়ে পড়েন। এদিকে গরম মানেই রসালো ফলের সমাহার। আম, কাঁঠাল, লিচু, জাম, সবেদা, তরমুজ, জামরুল এসবে বাজার ছেয়ে যায়। ফলের রাজা আম। আর আম খেতে সকলেই খুব ভালবাসেন। কাঁচা আমের যেমন আম তেল, গুড় আম সকলে খেতে ভালবাসেন তেমনই পাতের শেষে পাকা আমের জুড়ি নেই। এছাড়াও আইসক্রিম, ম্যাঙ্গো শেক, কাস্টার্ড, লস্যি অনেক কিছুতেই মেশানো হয় পাকা আম। গরমের ব্রেকফাস্টে দই-চিঁড়ে আর পাকা আমের কোনও তুলনা নেই।

    গোলাপখাস, হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি… এর স্বাদের কোনও তুলনা নেই। কথায় আছে, কারও পৌষমাস তো কারও সর্বনাশ! সুগারের রোগীদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একদমই তাই। বাজারে পাকা আম উঠলেই এনাদের মুখ ভার। আম মুখে দিলেই তো পরিবারের সদস্যরা রে রে করে উঠবেন। তাই হাতের সামনে আম থাকলেও তাঁরা খেতে চান না। ডায়াবেটিসের রোগীদের কি আদৌ আম খাওয়া উচিত?


আমে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ক্যালোরি, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ফসফরাল, কপার ইত্যাদি। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও মজুত রয়েছে এই ফলে। শরীরে জেল্লা ফেরাতে যেমন কাজে আসে আম তেমনই শরীর সুস্থ রাখতেও তা কাজে আসে। আমের মধ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। যে কারণে অধিকাংশ মানুষ আম খেতে ভয় পান। বিশেষত যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে। এছাড়াও যাঁরা ডায়েট করছেন তাঁদেরও আম খেতে মানা করা হয়। একজম প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সারাদিনে ১৫০-২০০ গ্রাম পর্যন্ত কার্বোহাইড্রেট খেতে পারেন।

     আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মোটামুটি ৫১ থেকে ৫৬, তাই খুব ভয় না খেয়ে অল্প পরিমাণে খেতে পারেন। এমনটাই বলা হয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে রোজদিনই আম খাওয়া যায়। তবে খাওয়ার পর শেষপাতে খেলে হবে না। ব্রেকফাস্টে খেতে পারেন। অথবা ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চ এর মধ্যবর্তী সময়ে খেতে পারেন। শুধু আমের পরিবর্তে আম, আপেল, পেয়ারা, আঙুর, সবেদা, খেজুর, শাঁখালু মিশিয়ে ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম খান।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

স্বাস্থ্য খাদ্যদ্রব্য
Related News