#Pravati Sangbad Digital Desk:
গত মাসেই কলকাতা পৌরসভার ভোট শেষ হয়েছে, বিপুল আসনে জয় লাভ করেছে তৃণমূল। কলকাতা পুরভোট কাটতে না কাটতেই বাকি সমস্ত পৌরসভাগুলিতে ভোটের দিন ঘোষণা করেছিলো রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী ২২শে জানুয়ারি আসানসোল, শিলিগুড়ি, চন্দননগর, বিধাননগর এই চার পুরনিগমে ভোটের দিন ঘোষণা করেছিলো নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ২৭শে ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে ফের মাথা চারা দিয়েছে করোনা, বর্তমানে কার্যত বেলাগাম করোনা। গত ২৪ ঘণ্টাই রাজ্যের পরিসংখ্যান ৯ হাজারের গণ্ডি পেড়িয়ে গেছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে গত ৩শরা জানুয়ারি থেকে ফের বিধি নিষেধ দিয়েছে নবান্ন, কিছুটা হলেও রাশ টানা হয়েছে স্বাভাবিক জীবনযাপনে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই বারংবার সাবধান করেছিলেন চিকিৎসক মহলের একাংশ, কিন্তু তাতে টনক নরেনি প্রশাসনের বরং বড়দিন এবং বর্ষবরণে ছাড় দিয়েছিল প্রশাসন। দুদিন আগেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ভোট হবে নির্ধারিত দিনেই, তবে অবশ্যই করোনা বিধি মেনে। মনোনয়ন পত্র জমা দিতে ৫ জনের বেশি জমায়েত যাতে না হয় সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। কোভিড বিধি মেনেই হলে প্রচার, করা যাবে না কোন ধরনের বড় জমায়েত, হবে না বাইক র্যা লি। ভোট গ্রহণ থেকে গণনা সম্পূর্ণটাই হবে করোনা বিধি মেনে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে ভোট কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সমাজের একাংশ। করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন রাজ্যের চিকিৎসকরা, আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশ কর্মীরাও। ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কারা যদি এই ভাবে একের পর এক কোভিড আক্রান্ত হন তাহলে চিকিৎসা করবেন কারা? প্রশ্ন উঠছে সর্বত্র।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কিছু পৌরসভাই মেয়াদ ফুরিয়েছে পৌরপতিদের রাজ্যের শাসক দলের বক্তব্য অবশ্য পৌরসভার নির্বাচন না হলে অনেক কাজই আটকে থাকে। এই নিয়ে খোঁচা মারতে ছারেনি বিরোধী শিবির। ২০২১শে বিধানসভা ভোট স্থগিতের দাবীতে বারবার সরব হয়েছিল তৃণমূল, ২০২২শের পৌরসভা ভোটে ঠিক তার উল্টো চিত্র। রাজ্য নির্বাচন কমিশন গাইডলাইন বেঁধে দিলেও অনেক জায়গাতেই নিরাস করার মতো ছবি সামনে এসেছে। সোমবার রাজ্যের পুর আইন মেনে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার পরেই পুনঃনির্ধারিত দিনেই ভোট গ্রহনের নির্দেশ দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার এই নিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের সাথে দীর্ঘক্ষণ ভার্চুয়াল বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা।
তবে ইতিমধ্যেই আজ সকালে কোলকাতা হাইকোর্টে পুরভোট পেছনোর দাবীতে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে। সমাজকর্মী বিমল ভট্টাচার্য আবেদন জমা দেন, তাতে বলা হয়েছে, “ রাজ্যে করোনা সংক্রমণ লাগাতার বেড়ে চলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি সংক্রমণ ঘতেছে, এর মধ্যে যদি ভোট করা হয় তাহলে মানুষ মৃত্যুর দিকে আর এক ধাপ এগিয়ে যাবে”। এই আবেদনের ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ জনস্বার্থ মামলা করার অনুমতি দিয়েছে। আগামী কাল এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Sagarika Chakraborty