টনসিল সারানোর ঘরোয়া উপায়

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

শীতে যে কোনও সংক্রমণই বাড়ে। সেই সঙ্গে সর্দি-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। সিজন চেঞ্জে বিশেষত এই শীতকালে অনেকেই টনসিলের সমস্যায় ভোগেন। জিভের পিছনের প্রান্তে গলার দু’পাশে যে গোলাকার পিণ্ডটি দেখা যায়, তা-ই টনসিল। মূলত মুখ, নাক, গলা থেকে কোনও প্রকার রোগজীবাণু যাতে কোনও ভাবে শরীরে ঢুকতে না পারে, সে দিকেই খেয়াল রাখে টনসিল। ঠান্ডা লাগলে টনসিলে সংক্রমণ হয়ে থাকে। তখন ঢোক গিলতে ও কথা বলতেও অসুবিধা হয়, গলায় ব্যথার কারণে কাশতে গেলেও কষ্ট হয়। মনে হয় গলায় কাঁটার মতো কিছু বিঁধে রয়েছে। ফলে খাবার খেলেই বমি হয়ে যায়। টনসিলে সংক্রমণ হলে জ্বর থাকে। সেই সঙ্গে গলা শুকিয়ে যাওয়া, চুলকোনো এসবও থাকে। টনসিলের সমস্যা অনেকেরই এমন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছয় যে তাঁরা অপারেশন করাতে বাধ্য হয়। কিন্তু অপারেশন করালেও টনসিল ফিরে আসে। টনসিলের ধাত যাঁদের থাকে তাঁরা প্রথমেই অ্যান্টিবায়োটিকের দিকে ঝোঁকেন। কিন্তু ঘরোয়া উপায়েও উপশম হয় টনসিলের। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদের শরীর পরিবর্তন হয়। অর্থনৈতিক অঞ্চলে এই পরিবর্তন। বিশেষ করে শীতে ঠাণ্ডা, কাশি একই থাকে। সঙ্গে বাড়ে টনসিলের সক্রিয়তা যা যন্ত্রণাদায়ক। এটি ছোট-বড় দুইয়েরই হয়। জানেন কি, এর উপশমে লেবু কার্যকরী। লেবু হচ্ছে প্রাকৃতিক এন্টিসেপ্টিক। ফলে রোগে রোগে লেবু জাদুরের মতো কাজ করে। চলুন তবে জেনে নি কোন পদ্ধতিতে লেবু টনসিল ঠিক করে-  
 
একটি পাত্র নিন। ভার্জিন নারকেল তেল, লেবুর রস ও মধু নিয়ে ভালোভাবে একটি মিক্সচার তৈরি করুন। এই মিক্সচারটি হালকা আঁচে গরম করুন। । এরপর নামিয়ে মিক্সচারটি  সাধারণটি একটি কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করুন। এটি একটি প্রাকৃতিক সিরাপ। প্রতিদিন তিন বার টেবিল চামচ সিরাপ গরম জলে পান করুন। 
কাশির সমস্যায় সারা বছর তুলসি পাতা আর মধু দিয়ে অনেকেই খান। আর গলার জন্য মধু খুবই উপকারী। মধু আর জ্যোষ্ঠিমধু বেটে সারাবছর একসঙ্গে খেতে পারলে গলার সমস্যা কমে। এছাড়াও টনসিলের সমস্যায় গরম জল দিয়ে মধু খেলেও খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়।
টনসিলের অর্বথ্য ওষুধ হল নুন জল দিয়ে গার্গল। এতে যে কোনও ব্যাকটেরিয়া থাকলে তা মরে যায়। সেই সঙ্গে গলা পরিষ্কার হয়। তাই গলার সমস্যা থাকলে সারা বছর গরম জলে নুন দিয়ে গার্গল করুন।
ক্যামোমাইলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও সমক্রমণ আটকায় ক্যামোমাইল। ক্যামোমাইলের নিজস্ব একটা গন্ধ রয়েছে। যা গলার সমস্যায় উপশম দেয়। বলা হয় ক্যামোমাইলের চা দিয়ে ভেপার নিলেও ভালো কাজ করে। সেই সঙ্গে গলা, নাক পরিষ্কার থাকে।
হলুদ টিস্যুকে প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। তাই গলার ব্যথা কমাতে অনেকেই ঘরোয়া উপায়ে এর ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে এক কাপ দুধে সামান্য হলুদ মেশান। তার পর সেই দুধ ফুটিয়ে গরম গরম খান। এই হলুদ মেশানো দুধ টনসিলের সংক্রমণ বা গলা ব্যথার ক্ষেত্রে খুব কার্যকর।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sampriti Gole

Tags:

Related News