Flash News
    No Flash News Today..!!
Monday, November 10, 2025

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে কী খাবেন, জেনে নিন

banner

journalist Name : Susmita Das

#Pravati Sangbad digital Desk:

চেহারা ক্রমেই ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। কিছুই খেতে ভাল লাগছে না। অফিস যাতায়াতের ধকল যেন আর বইতে পারছেন না। প্রবল গরমে এগুলিকে শুধুই গরমের ক্লান্তি বলে অবহেলা করলে মস্ত ভুল করবেন। এগুলি কিন্তু হতেই পারে অ্যানিমিয়ার লক্ষণ। রক্তাল্পতায় আক্রান্ত ব্যক্তির অনেক সময় চুল ঝরতে পারে। মূলত আয়রনের অভাবে এমনটা হয়। রক্তাল্পতার ফলে অনেক সময় অবসাদ তৈরি হয়। অনেকের হৃদ্‌স্পন্দনের গতি বেড়ে যায় এই অসুখে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক মহিলারাই রক্তাল্পতার সমস্যায় ভোগেন। 

পুষ্টিবিদদের মতে, খাদ্যাভাসে সামান্য বদল এই রোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে কী খাবেন?

বীটরুট- প্রাকৃতিকভাবেই বীটরুটে প্রচুর পরিমাণে লোহা রয়েছে। এছাড়া আছে ম্যাগনেশিয়াম, তামা, ফসফরাস, ভিটামিন বি১, বি২, বি৬, বি১২ এবং ভিটামিন সি। এই ধরনের সব্জি পূর্ণ রয়েছে খনিজ সম্পদ ও ভিটামিন দ্বারা। ফলে নিয়মিত  এটি  খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। একইসঙ্গে রক্তে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যাতেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়।

আপেল- দিনে একটি আপেল খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ তো ঠিক থাকেই, তার পাশাপাশি আরও নানা উপকার পাওয়া যায়। আবার সমপরিমাণে বিট ও আপেলের রস মিশিয়ে পান করতে পারেন। 

সজিনা পাতা-জিঙ্ক, লোহা, তামা, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ সহ ভিটামিন এ, বি, সি দ্বারা পূর্ণ সজিনা পাতা। সজিনা শাক প্রতিদিন ভাতের সঙ্গে খাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট বেশি।

ভিটামিন সি- এই ভিটামিনের অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। আবার ভিটামিন সি ছাড়া আয়রনের শোষণ সম্ভব হয় না। পেঁপে, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, গোলমরিচ, সবুজ ফুলকপি, আঙুর, টমেটো, টক ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে।

সবুজ শাকসব্জি- পালং, সর্ষে, ব্রকোলির মতো শাকসব্জিও আয়রনে পূর্ণ। এছাড়া ভিটামিন বি১২, ফোলিক অ্যাসিডও রয়েছে পর্যাপ্ত মাত্রায়। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে চাইলে শাকসব্জিগুলি পাতে রাখা যায়। ব্রকোলির কথা একটু আলাদা করে বলতে হয়। কারণ এই সব্জিতে রয়েছে আয়রন এবং বি কমপ্লেক্স ভিটামিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফোলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম। একটা কথা মনে রাখতে হবে, সবুজ শাকসব্জিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমে সাহায্য করে। ক্যালোরি কম থাকায় বেশি মাত্রায় খেলেও ওজন বাড়ে না। সবচাইতে বড় কথা, ডায়াবেটিকরা নিশ্চিন্তে শাকসব্জি খেতে পারেন।

আমলা পাতা- আমলা পাতায় থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, এতে রক্ত তঞ্চনে সাহায্য করে।

খেজুর, কিসমিস, ডুমুর- খেজুর ও কিসমিস একত্রে আয়রন ও ভিটামিন সি-এর উপযুক্ত উৎস। অন্যদিকে ডুমুরে রয়েছে যথেষ্ট মাত্রায় আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন এ এবং ফোলেট। প্রতিদিন সকালে তিনটি করে খেজুর, একমুঠো কিসমিস ও শুকনো ডুমুর মিশিয়ে খেলে রক্তাল্পতার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শরীরে এনার্জিও থাকে চূড়ান্ত। তবে ডায়াবেটিকরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ধরনের খাবার খাবেন না।

বেদানা- এই ফলটি আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা, ফাইবারে সমৃদ্ধ। বেদানা দেহে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন একটি বেদানা খান। এমনকি বেদনার জুস পান করলেও সুফল পেতে পারেন।

তবে ,চা, কফি, বিভিন্ন প্রকার ঠান্ডা পানীয়, ওয়াইন এবং বিয়ার শরীরের আয়রন শুষে নেয়। যারা অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন, তাদের এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

স্বাস্থ্য
Related News