#Pravati Sangbad Digital Desk:
সুস্বাস্থ্যের জন্য ডিমের উপকারিতা অনেক। বিশেষজ্ঞরা ডিমকে প্রোটিনের পাওয়ার হাউজ বলে থাকেন। ব্রেকফাস্টে কিংবা দিনের অন্যান্য সময়ে ডিম আকছাড় খাই। বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেরই পছন্দের খাবার ডিম। প্রোটিনের একটি ভাল এবং সস্তা উৎস ডিম। দিনে মাত্র দু'টি ডিম খেলে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডিম সাধারণত অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টিতে ভরপুর থাকে, তাই এগুলোকে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। অনেকেই সকালের নাস্তায়, দুপুরের খাবারে এবং ওয়ার্কআউটের পর ডিম খেতে পছন্দ করেন। উচ্চমানের প্রোটিন, ভিটামিন, আয়রন ইত্যাদি পাওয়া যায়, যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে, যা মানুষ জানে না। কিন্তু প্রতিদিন অনেক বেশি ডিম খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। হ্যাঁ, ডিম সবসময় আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়, বিশেষ করে যখন চিন্তা না করে খাওয়া হয়। ডিমের সাদা অংশ বিশুদ্ধ প্রোটিন থাকে। তবে, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডিম খেলে এর ক্ষতির কথাও আপনাকে জেনে নিতে হবে।
ডিমের উপকারিতা
একটা ডিমে এনার্জি থাকে ১৪৩ ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট থাকে ০.৭২ গ্রাম। প্রোটিন থাকে ১২.৫৬ গ্রাম, ফ্যাট থাকে ৯.৫১ গ্রাম। এছাড়া ফসফরাস থাকে ১৯৮ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম, জিঙ্ক থাকে ১.২৯ মিলিগ্রাম। এই সব একসঙ্গে ডিমের পুষ্টিগুণ বাড়াতে সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশে থাকে এই প্রোটিন এবং কুসুমে থাকে গুড ফ্যাট, আয়রন ও ভিটামিন।
আপনিও যদি ডিম খাওয়ার শৌখিন হন,তাহলে ডিম খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন।
১) ডিমের সাদা অংশ চর্বিমুক্ত এবং কম ক্যালরিযুক্ত, কিন্তু আসলে এই সাদা অংশের অনেক অসুবিধা রয়েছে।
কারো কারো ডিমের সাদা অংশে অ্যালার্জি হয়। এমন অবস্থায় শরীরে ফুসকুড়ি, ত্বকের ফোলা ও লালভাব, ক্র্যাম্প, ডায়রিয়া, চুলকানি ইত্যাদি হতে পারে। যাদের আগে থেকেই অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের ডিম খাওয়া উচিত্ নয়।
২). ডিমের সাদা অংশে প্রচুর প্রোটিন, তাই এটি কিডনির সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষের জন্য ক্ষতিকর। প্রকৃতপক্ষে, কিডনির সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে জিএফআর (একটি তরল যা কিডনিকে ফিল্টার করে) এর পরিমাণ কম। ডিমের সাদা অংশ জিএফআর কমায়। এতে কিডনির ফিল্টারিংয়ে সমস্যা হয়। এমন পরিস্থিতিতে সমস্যা বাড়তে পারে কিডনি রোগীদের।
৩) অন্যদিকে আমরা যদি ডিমের হলুদ অংশের কথা বলি তাহলে এতে উচ্চ পরিমাণে কোলেস্টেরল এবং চর্বি পাওয়া যায়। প্রতিদিন দুটির বেশি ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়তে পারে, যার কারণে আপনার হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। হার্টের সমস্যায় ভুগছেন এবং ডায়াবেটিস রোগীদের ডিম এড়িয়ে চলতে হবে।
৪)ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন থাকে। এ কারণে শরীরে বায়োটিন শোষণে সমস্যা হয়, এমন পরিস্থিতিতে পেশির ব্যথা, ত্বক জনিত সমস্যা, চুল পড়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।